প্রথম দশে ওরা দুই

ফল বেরনোর পর থেকে একের পর এক শুভেচ্ছা। পড়শি-আত্মীয়-সহপাঠিনী-শিক্ষিকাদের ভিড়ে ঘরে তিলমাত্র জায়গা নেই। একের পর এক ফোন ধরতে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী ও কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০২:১৩
Share:

ঋতম নাথ

অঙ্ক পরীক্ষা চলাকালীন আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। একটা সময় মনে হয়েছিল পরীক্ষাটাই আর বুঝি দেওয়া হল না। পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকরা ওযুধের ব্যবস্থা করে ফের পরীক্ষায় বসিয়েছিলেন মেয়েটিকে। ফল বেরতে দেখা গেল আরংঘাটার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঐশিকা চক্রবর্তী এ বারের মাধ্যমিকে দশম হয়েছে।

Advertisement

ফল বেরনোর পর থেকে একের পর এক শুভেচ্ছা। পড়শি-আত্মীয়-সহপাঠিনী-শিক্ষিকাদের ভিড়ে ঘরে তিলমাত্র জায়গা নেই। একের পর এক ফোন ধরতে হচ্ছে। তারই মধ্যে ঐশিকা শোনালো আর এক গল্প। অঙ্ক পরীক্ষার দিন সে যে ওযুধ চাইতে শিক্ষকদের কাছে গিয়েছিল, তাতে পরে অভিযোগ হয়েছিল, তাকে নাকি অঙ্ক সব বলে দেওয়া হয়েছে। তাতেই সে ১০০ পাবে। অভিযোগ করেছিল তারই কিছু সহপাঠিনী। অন্য সব বিষয়ে প্রায় ১০০। অঙ্কে ৯০ পেয়েও সে যে দশম হয়েছে, তাতেই বেজায় খুশি রবীন্দ্রনাথের লেখার প্রবল ভক্ত মেয়েটি। অঙ্ক পরীক্ষা ভাল হলে ফল যে আরও ভাল হত, সে কথা আজ সবাই জেনে গিয়েছে।

ঐশিকা চক্রবর্তী

Advertisement

কৃষ্ণনগরের ঋতম নাথ আবার কম্পিউটার গেমসের ভক্ত। শনিবার রেজাল্ট বের হওয়ার পরে যখন বাড়িতে পরিচিতদের ভিড়। তার ভিতরেও তাকে মোবাইল হাতে গেম খেলতে মগ্ন থাকতে দেখা যায় ঋতম নাথকে। কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিকে ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রাজ্য মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করেছে। স্কুলের বাইরে ছিল আট জন গৃহশিক্ষক। সঙ্গে মা। ভাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে। আর ভাবতে রাজি নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement