বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত ২

খেতজমি থেকে দুই যুবকের দেহ মিলেছে বর্ধমান সীমান্ত লাগোয়া কেতুগ্রামের মারুট গ্রামে। পুলিশের অনুমান, বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটেই মারা গিয়েছেন শান্ত চৌধুরী (৩৩) ও হিল্লোল শেখ (৩৩) নামে ওই দু’জন। তবে এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সুন্দরপুর লাগোয়া কয়থা গ্রামের মাঠে জনা পাঁচেক যুবক বসে বোমা বাঁধছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেতুগ্রাম ও কান্দি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ০০:০৩
Share:

খেতজমি থেকে দুই যুবকের দেহ মিলেছে বর্ধমান সীমান্ত লাগোয়া কেতুগ্রামের মারুট গ্রামে। পুলিশের অনুমান, বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটেই মারা গিয়েছেন শান্ত চৌধুরী (৩৩) ও হিল্লোল শেখ (৩৩) নামে ওই দু’জন। তবে এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সুন্দরপুর লাগোয়া কয়থা গ্রামের মাঠে জনা পাঁচেক যুবক বসে বোমা বাঁধছিলেন। তখনই কোনও ভাবে বোমাগুলি ফেটে জখম হন ওই দু’জন। পরে গাড়িতে করে কেতুগ্রামের মাজিনা গ্রামের বাসিন্দা শান্ত ও সুন্দরপুরের বাসিন্দা হিল্লোলকে কেতুগ্রামের আনখোনা এলাকার এক হাতুড়ের কাছে আনার সময়ে লোহাগ্রামের কাছে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, এরপরেই ওই দু’জনকে মারুট গ্রামের খেতজমিতে ফেলে দিয়ে গাড়িটি চলে যায়। বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার কাওতা গ্রামে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ওই দু’জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেহ দু’টি কেতুগ্রাম থানা উদ্ধার করেছে। ওই থানাতেই মামলা রুজু হবে।”

Advertisement

বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহদুটির ময়না-তদন্ত হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে মৃত শান্তর ভাই বাবু অভিযোগ করেন, “আমরা তৃণমূল করি। মাস ছ’য়েক আগে মাজিনা গ্রামে এক তৃণমূল নেতা খুন হন। সেই শত্রুতার জেরেই আমার দাদাকে খুন করা হয়েছে।” অন্য দিকে হিল্লোলের বাড়ির লোকেদের দাবি, তাঁরা গ্রামে তৃণমূল করেন। দলেরই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকেরা হিল্লোলকে খুন করেছেন।

এমনিতেই বড়ঞার সুন্দরপুর পঞ্চায়েতটি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ রয়েছে। মাঝেমধ্যে আশান্তি, বোমাবাজি হয়। ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা আসমত হকের অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় ব্লক সভাপতি জালালউদ্দিন ও তাঁর অনুগামী কয়থার বাসিন্দা সামানউল্লারা আমাকে খুন করার জন্য কয়থা গ্রামে বাইরে থেকে লোক এনে বোমা বাঁধাছিল। সেই বোমা ফেটে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।” যদিও পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সামানউল্লার দাবি, “বোমা বাঁধার খবর আমার জানা নেই।” বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন আফাজও বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা। সুন্দরপুরে প্রায় দিনই বোমা ফাটে। ওই দিন যেটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ বর্ধমান জেলাতে হয়েছে। বড়ঞা ব্লকে কিছুই হয়নি। যারা মারা গিয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের ভয়ে পলাতক ছিল বলেই শুনেছি।’’ কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেনেরও দাবি, ‘‘বোমা বাঁধা বা বোমা ফাটার কোনও ঘটনা আমাদের এলাকায় ঘটেনি। যেটা হয়েছে সেটা বর্ধমান জেলার সীমানায় হয়েছে।”

Advertisement

অন্য দিকে, নদিয়ার ধোড়াদহ গ্রামের ফকিরপাড়ায় বোমা বাঁধার সময় বোমা ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তন্ময় সরকার বলেন, “ওই ঘটনায় ডোমকল থানা এলাকার পিয়ারুল আনসারি (৩৫) নামে একজন মারা গিয়েছে। পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করেছে। জখম বাবু মণ্ডল নামে আর একজনের খোঁজ চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement