এ বার নকল ওষুধ চক্রের হদিস মিলল হুগলির শ্রীরামপুরে।
শুক্রবার শ্রীরামপুর স্টেশনের অদূরে রাজা রামমোহন সরণিতে ‘এস এস এন্টারপ্রাইজ’ নামে এক ডিস্ট্রিবিউটরের কাউন্টারে হানা দিয়ে বেশ কিছু নকল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) এবং হুগলির ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। ওই নামের আসল ওষুধটি প্রসূতিদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ওই কারবার চালানোর অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম অনিল রায় এবং সম্পদ সরকার। দু’জনেরই নামেই ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান ইবি অফিসাররা।
কিছুদিন আগেই কলকাতার বড়বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কারবারের নজির সামনে এসেছে। তার আগে রাজ্যের অনেক জায়গা থেকেই নকল ওষুধ উদ্ধার হয়েছে।
এ দিন শ্রীরামপুর থেকে যে নকল ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেই নামের আসল ওষুধটি মাতৃগর্ভে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে দেওয়া হয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘কোনও ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় প্রসূতির ঋতুস্রাব হলে তা বন্ধ করতেও এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু নকল ওষুধে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। জন্মের পরেও শিশুদের মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।’’
এ দিন দুপুরে ইবি-র ডিএসপি সুখেন সিংহ এবং হুগলি ড্রাগ কন্ট্রোলের সিনিয়র ইন্সপেক্টর পৃথা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে শ্রীরামপুরের ওই দোকানে কয়েক ঘণ্টার তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ইবি-র এক অফিসার বলেন, ‘‘তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত করা হবে। আগেও এস এস এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল।’’ ড্রাগ কন্ট্রোলের এক অফিসার বলেন, ‘‘দোষ প্রমাণিত হলে ধৃতদের কঠিন সাজা হতে পারে।’’
তল্লাশির সময় ওই দোকানের সামনে ভিড় জমে। ধৃতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। অভিযোগ নিয়ে ধৃতেরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, অনিলবাবুর দাদা শিশিরকান্তি রায়ের দাবি, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ভাই সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক কারণে চক্রান্ত করা হয়েছে।’’