আফিম চাষ করতে গিয়ে পুলিসের জালে দুই, ছবি: নিজেস্ব চিত্র
উত্তর-পূর্ব ভারতের শহর থেকে আফিম পাচার করা হচ্ছিল সুদূর জম্মু-কাশ্মীরে। প্রায় সাড়ে ছয় কিলোগ্রাম আফিম-সহ সেই চক্রের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) বা রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ।
ধৃতদের নাম জ্যোতি শর্মা ও অমরজিৎ সিংহ। জ্যোতির বাড়ি শিলিগুড়িতে। অমরজিৎ জম্মুর বাসিন্দা। জেরার মুখে ওই যুবকেরা জানান, গুয়াহাটির এক ব্যক্তির কাছ থেকে আফিম নিয়ে তাঁরা বাসে শিলিগুড়ি আসছিলেন। সেখান থেকে ট্রেনে জম্মু যাওয়ার কথা ছিল। জম্মুতে ওই মাদক তুলে দেওয়ার কথা ছিল অন্য এক ব্যক্তির হাতে।
ওই মাদক পাচারের খবর আগেই তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে ডিআরআই। সেই অনুযায়ী ২ অক্টোবর গভীর রাতে অফিসারেরা শিলিগুড়ির কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন। গুয়াহাটি থেকে বাস আসতেই সেটিকে থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। ওই বাসেই ছিলেন জ্যোতি ও অমরজিৎ। তাঁদের ব্যাগ তল্লাশ করে সাতটি প্যাকেট পাওয়া যায়। সেই প্যাকেটে অনেকটা চিটেগুড়ের মতো দেখতে আফিম মাখা ছিল। মাদক পাচার চক্রের সদস্যেরা যে উত্তর-পূর্ব ভারতের শহর থেকে উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত সক্রিয়, এই ঘটনা তার প্রমাণ বলে জানান গোয়েন্দারা।
আটক মাদকের বাজারদর সম্পর্কে গোয়েন্দারা মুখ খুলতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, কিছু কিছু মাদকের দাম বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। অনেক বেকার যুবক এত বেশি দাম দেখে প্রলুব্ধ হয়ে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। কর্তারা বলছেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য, মাদকের ব্যবহার বন্ধ করা। দাম শুনে উৎসাহিত হয়ে কেউ এই পেশায় আসুক, সেটা আমরা চাই না।’’