প্রতীকী ছবি।
নন্দীগ্রামে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ গোলা রুকুমুদ্দিনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছিলেন তাঁর পরিবার।
রবিবার রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীও ঘটনার পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। অথচ, রবিবার আক্রান্তের পরিবার থানায় এফআইআর করার পর সোমবার দুই সিপিএম সমর্থককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। যা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম।
জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই তৃণমূল জানালেও আদতে তারাই রাজনীতি করছে। তার জেরেই পুলিশ তাদের দুই সমর্থককে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আটক দু’জনের বাড়ি রুকুমিদ্দিনের গ্রাম বয়ালেই। এলাকায় তারা সিপিএম সমর্থক হিসেবে। সিপিএমের অভিযোগ, রবিবার বিকেলে নন্দীগ্রামে গিয়ে সেখানকার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এর জন্য দুষ্কৃতীরাই দায়ী’। অথচ তারপরও তাদের দুই কর্মীকে ‘আটক’ করল পুলিশ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘শাসক দল নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল চাপা দিতেই বিরোধীদের ধর পাকড় চালানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশকে। তারাও সেইমত কাজ করছে।’’ যদিও এ দিনই ওই দুই সিপিএম সমর্থককে ‘ডাকলেই থানায় আসতে হবে’ এই মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) পারিজাত বিশ্বাস জানান, কে বা কারা গুলি চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। উনি সুস্থ হয়ে উঠলে অভিযুক্তদের ধরা সম্ভব হবে।