হিলি সীমান্তে ভাষা দিবসে মাতবে দুই বাংলা

বাংলাদেশের দিকে জ়িরো পয়েন্টের অনুষ্ঠানে দুই বাংলার কবি, লেখক, গায়ক, নৃত্যশিল্পীরা সামিল হবেন।বালুরঘাটের পুরনো বাসিন্দাদের স্মৃতি থেকে উঠে আসা ওই তথ্যের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্ম ওয়াকিবহাল না হলেও অদ্ভূত ভাবে পুরনো সেই আবেগ কিন্তু আজও রয়েছে অবিচল। তাই আজও ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটিতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বালুরঘাটের প্রবীণদের সঙ্গে নবীন প্রজন্মও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৪
Share:

আজ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। হিলি সীমান্তে ওপার বাংলার সঙ্গে এপার বাংলার মেলবন্ধনে পালিত হবে এই ভাষা দিবস। ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের সময় তার প্রভাব পড়ে তৎকালীন পশ্চিম দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরেও। এখানে সে ভাবে আন্দোলন না হলেও ওপারের ভাষা আন্দোলনে যুক্ত মানুষের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল বিয়াল্লিশ ও তেভাগা আন্দোলনের এই ভূমি। প্রতিবাদ হয়েছিল ভাষা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোরও। এক প্রবীণ বাসিন্দার স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে সেই দিন, ‘‘শহরের বহু পরিবারে পালিত হয় অরন্ধন।’’

Advertisement

বালুরঘাটের পুরনো বাসিন্দাদের স্মৃতি থেকে উঠে আসা ওই তথ্যের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্ম ওয়াকিবহাল না হলেও অদ্ভূত ভাবে পুরনো সেই আবেগ কিন্তু আজও রয়েছে অবিচল। তাই আজও ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটিতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বালুরঘাটের প্রবীণদের সঙ্গে নবীন প্রজন্মও। শহরের প্রবীণ ও বিশিষ্ট নাট্যকার হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বালুরঘাটে সে ভাবে ভাষা আন্দোলন হয়নি বটে। তবে উদযাপন হয়েছে সেই ১৯৭১ সাল থেকে। সে সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী কংগ্রেস নেতৃত্ব দিনটি পালন করতেন।’’ নাট্যকর্মী কমল দাস বলেন, ‘‘তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই সমস্যা এ পারের দিনাজপুরে ছিল না। তা হলেও শেকড়ের টানে এ অঞ্চলের মানুষ ভাষা আন্দোলনে দুর্বার ঢেউয়ের শরিক হন।’’

আর তাই হয়তো প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি হিলি সীমান্তের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জ়িরো পয়েন্টে দু’দেশের কবি সাহিত্যিক থেকে যুবক-যুবতীদের আজও এক সূত্রে বেঁধে রাখে। আজ, বৃহস্পতিবার বালুরঘাট কলেজের পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের উদ্যোগে আয়োজিত ভাষা দিবসের সেমিনারে লোকভাষার উপর বক্তব্য রাখবেন নাট্যকার হরিমাধবাবু। তিনিই ওই সেমিনারে মূল বক্তা। ওপার বাংলাদেশের ‘আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান কমান্ড’ এবং সাপ্তাহিক ‘আলোকিত সীমান্ত’ নামে সংস্থার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে শহীদ দিবস পালিত হবে।

Advertisement

সকাল থেকে বাংলাদেশের দিকে জ়িরো পয়েন্টের অনুষ্ঠানে দুই বাংলার কবি, লেখক, গায়ক, নৃত্যশিল্পীর মতো অনেকেই সামিল হবেন, যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা সুরজ দাস বলেন, ‘‘এপার বাংলার পক্ষে হিলির উজ্জীবন সোসাইটি, বালুরঘাটের ছন্দম, উত্তরের রোববার এবং মেঘালয় তুরা করিডর কমিটি এবং আরও একাধিক সংস্থার প্রতিনিধিদের মিলিত উদ্যোগে একাকার হয়ে উঠবে বালুরঘাট অঞ্চলের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement