কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্চটের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিএফ ‘দুর্নীতি’ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল অভিযুক্ত দুই সংস্থা। তাদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কারণ দেখতে পাচ্ছে না তারা। তাই ওই নির্দেশই বহাল থাকবে।
ডেল্টা লিমিটেড এবং ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড নামক দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আদালতে মামলা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থার তরফে তাঁদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের তরফে আদালতে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। ওই মামলাতেই দুই সংস্থার পাঁচ জন ডিরেক্টরকে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)-কে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার।
এসএফআইও-র আইনজীবী সৌভিক নন্দী শুক্রবার আদালতে জানান, দুপুর ২টোয় হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়েছিলেন তাদের আধিকারিকেরা। থানায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশনামার কপি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির পরে এফআইআর দায়ের করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। থানার ওসিকে তলব করেন বিচারপতি। আধ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেন।
বিচারপতির নির্দেশের পরেই জানা যায়, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের হয়ে গিয়েছে। অভিযোগপত্র এবং এফআইআর কপি দ্রুত ইডিকে দিতে বলেন বিচারপতি। দ্রুত তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।