চিহ্ন: এখনও রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে পাথর। নিজস্ব চিত্র
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই শনিবার পুলিশের উপরে হামলা চালিয়েছিল বিজেপি, এমনটাই দাবি পুলিশের। পরিকল্পনা মাফিক আগে থেকেই হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ মিছিল আটকাতেই সেই মতো আক্রমণ শুরু করেন বিজেপির কর্মীরা। যে আক্রমণের মুখে পড়ে সিভিকসহ ন’জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে বিভু ভট্টাচার্য নামের এক এসআইয়ের মাথা ফেটে যায়। তিনি এখন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার পরে পুলিশ ৪৫ জন বিজেপি নেতাকর্মীর নামে মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যে রতিনাথ হালদার (৪৫) ও কানু হালদার (৩০) নামের দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। কর্তব্যে বাধাদান, পুলিশকে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ থেকে অবৈধ জমায়েতের মতো একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে গোটা শহরের বিজেপি নেতারা ঘর ছাড়া। রাত থেকেই বিজেপি নেতাদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চলেছে। সব মিলিয়ে রবিবারও গোটা শহরের পরিবেশ ছিল থমথমে। জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’’
শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে জোর করে মিছিল করতে উদ্যত হন বিজেপি কর্মীরা। আগের দিনই গঙ্গারামপুরে পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ মাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই পুলিশ যে মিছিল আটকাবে তা জানত বিজেপি। তাই মিছিল আটকালেই পুলিশকে আক্রমণ করা হবে, এমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, চার-পাঁচ জন বিজেপি কর্মীই হামলার মূল পান্ডা ছিলেন। পাথর এনে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পুনর্ভবা নদীর তীরে দলীয় অফিসের কাছে জড়ো করা হয়।
যদিও বিজেপি শিবিরের দাবি, মিছিলের আড়ালে কয়েক জন তৃণমূলের দুষ্কৃতী প্রথমে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছোড়ে। তারপরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিজেপি নেতা সনাতন কর্মকার বলেন, ‘‘আমরা আগে হামলা করিনি। তৃণমূলের কয়েকজন ভিড়ে মিশে থেকে গন্ডগোল শুরু করে। পুলিশকে ওরাই আক্রমণ করেছে।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি পুলিশের উপরে প্রাণঘাতী হামলা করে তৃণমূলের নাম দিচ্ছে। মানুষ জানেন কারা হামলা করেছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।