সিম-বক্স পদ্ধতিতে চলা বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। ফাইল চিত্র।
এর আগেও কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছিল সিম-বক্স পদ্ধতিতে চলা বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। গোয়েন্দাদের দাবি, তার সঙ্গেও জড়িত ছিল বর্তমানে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক শাহ আলম তালুকদার এবং আবু সুফিয়ান মামুনের এক সঙ্গী। বাংলাদেশের বাসিন্দা ধৃত ওই অভিযুক্তের নাম আজাদ মাতুব্বর। যাকে গত বছর লকডাউন চলাকালীন এপ্রিল মাসে পুলিশ ২৪টি সিম-বক্স এবং বিভিন্ন বেআইনি যন্ত্রপাতি সহ লেক গার্ডেন্স থেকে গ্রেফতার করেছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে মামুন এবং শাহ আলমের। তিন জনই চক্রের বাংলাদেশি পাণ্ডাদের নির্দেশ মতো ওই অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ খুলেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, দেশ বিরোধী কার্যকলাপও এখান থেকে করা হত কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত না হলেও গোটা দেশেই সিম-বক্স পদ্ধতিতে বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ খুলেছিল ওই চক্রের সদস্যরা। এসটিএফ সূত্রের খবর, ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালা-সহ একাধিক রাজ্যে সিম-বক্স পদ্ধতিতে বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ খুলেছিল ধৃত অভিযুক্তরা।
অভিযোগ, সব রাজ্যেই একাধিক সাব এজেন্ট নিয়োগ করে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া করে কারবার চালাচ্ছিল ধৃতরা। আন্তর্জাতিক এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিদেশ থেকে করা ফোন স্থানীয় নম্বর হিসেবে দেখায়। ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ছাড়াও কে বা কারা ফোন করছে তা জানা যেত না। পরিচয় গোপন রেখেই ওই ফোন কারবার চালাত ধৃতরা।
এসটিএফ বুধবার এবং রবিবার অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালানোর অভিযোগে বাংলাদেশের দুই বাসিন্দা মামুন এবং শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। ধরা পড়ে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রণজিৎ নাহা ও নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা ইরশাদ আলি মল্লিক এবং ওড়িশার ভদ্রকের বাসিন্দা আফতার আলি। ওড়িশার অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্বে ছিল এই আফতার। গোয়েন্দাদের দাবি, ধৃত জেরায় জানিয়েছে ওড়িশার একাধিক জায়গাতে গত কয়েক বছর ধরে ওই বেআইনি কারবার ফেঁদে বসেছিল সে।