ছবি: সংগৃহীত।
দু’টি আলাদা লোক, অথচ একই ভোটার কার্ড (এপিক) নম্বর। একই এপিক নম্বর অথচ নাম দু’টি বুথে। একটি লোক, অথচ দু’টি এপিক কার্ড।
অনেক সময়েই এই তিনটি ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তা আটকাতে এই সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ‘সিঙ্গল ডে হিয়ারিং’ বা একই দিনে শুনানির ব্যবস্থা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এক দিনে শুনানি হলে একই ব্যক্তি একই সময়ে দু’টি জায়গায় হাজির হতে পারবেন না। কারও পক্ষে দু’টি জায়গাতেই উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য দু’টি শুনানিস্থানের দূরত্ব কতটা, তা-ও নজরে রাখা হয়। এক দিনে শুনানি হলে তালিকা থেকে এই ধরনের লোকেদের নাম বাদ দেওয়া অনেকটাই সহজ হয়।’’
দেশের ভোট প্রক্রিয়াকে কী ভাবে আরও স্বচ্ছ, সহজ-সরল করা যায়, তার জন্য ন’টি কমিটি তৈরি করেছে কমিশন। তার মধ্যে ভোটার তালিকা ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত দু’টি কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব। কয়েক দিন আগে দিল্লিতে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) নিয়ে বৈঠক করেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানেই লোকসভা ভোট প্রক্রিয়ায় সিইও-দের সঙ্গে অভিজ্ঞতার কথা শোনা হয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। একই ব্যক্তির দু’জায়গার তালিকায় নাম থাকার বিষয়টি অভিযোগের শীর্ষে থাকে। গোটা দেশে ‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার নেটওয়ার্ক’ (ইআরও নেট) ওয়েব-নির্ভর পোর্টাল চালু করেছে কমিশন। একই ব্যক্তির নাম দু’জায়গার ভোটার তালিকায় থাকলে এই পদ্ধতিতে তা সহজেই ধরা পড়ছে। কারণ, এই পদ্ধতিতে আগে একটি জায়গায় নাম কাটা পড়বে, তার পরে অন্য জায়গায় তা তালিকাভুক্ত হবে। ভোটার তালিকার কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। সেই কাজে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন নেই বলে দাবি কমিশনের কর্তাদের।
রাজ্যের ভোটার তালিকায় সংযোজন-বিয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন সাহায্য নেয় রাজনৈতিক দলগুলিরও। ‘‘ভোট প্রক্রিয়ায় সব থেকে বড় অংশীদার দলগুলি। তাই তাদের সাহায্য নেওয়া যায়,’’ বলেন এক কমিশন-কর্তা। ১৪ জানুয়ারি রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকায় ভোটার ছিলেন ৬,৯৭,৬০,৮৬৮। ধারাবাহিক সংযোজন-বিয়োজনের পরে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৬,৯৮,৯১,৭৫১।