বিজন ধর। —ফাইল চিত্র।
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ত্রিপুরায় বামপন্থী আন্দোলনের দুই বর্ষীয়ান নেতাকে হারাল সিপিএম। কলকাতায় প্রয়াত হলেন ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিজন ধর (৭১)। কলকাতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশের মৃত্যু হয়েছিল কোভিড-পরবর্তী জটিলতায়। দলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক বিজনবাবুরও মৃত্যু হয়েছে একই কারণে। ত্রিপুরায় ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরপর তিন দফায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন বিজনবাবু। কঠিন সময়ে দুই অভিজ্ঞ নেতাকে খোয়ানো দলের কাছে বড় ধাক্কা বলেই সিপিএম নেতৃত্বের মত। কয়েক বছর আগে কলকাতাতেই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করতে এসে মৃত্যু হয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের তৎকালীন আহ্বায়ক খগেন দাশের।
কোভিড ধরা পড়ার পরে ফুসফুস সংক্রমণের জটিলতা বাড়ছিল বিজনবাবুর। তখন তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। ই এম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী-সহ পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের শীর্ষ স্তরের নেতারা। শোকপ্রকাশ করেছে পলিটবুরো। ত্রিপুরায় সম্মেলন-সহ সিপিএমের সব কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিজনবাবুর মরদেহ আগরতলায় আনা হলে রাতে চৌমুহনীর বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আগরতলায় বটতলা শ্মশানে আজ, মঙ্গলবার প্রয়াত নেতার শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়াতে এ দিনই শোকমিছিল করে সিপিএম। প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিএম দক্ষিণ জেলা সম্পাদক বাসুদেব মজুমদার, মহকুমা সম্পাদক তাপস দত্ত-সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। শোকপ্রকাশ করেছেন দলের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
বিজনবাবু ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন রানিরবাজার স্কুলে পড়ার সময়ে। দীর্ঘ দিন তিনি পার্টির সোনামুড়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হন ১৯৯৫ সালে। তিনি ২০০২ সালে ১৭তম পার্টি কংগ্রেসে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক ছিলেন ২০১৮ সাল থেকে।