অ্যাপেই জানা যাবে পুল কারের গতিবিধি। — ফাইল চিত্র।
পুল কারে ছেলেমেয়েকে স্কুল পাঠিয়ে তাদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। এ বার সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে পদক্ষেপ করল পরিবহণ দফতর। স্কুল বাস তথা পুল কারগুলির গতিবিধি জানতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। কেন্দ্রীয় পূর্ত ও সড়ক মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে রাজ্যের সব গাড়িতে ভেহিকেলস লোকেশান ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) লাগানোর কাজ আগেই শেষ করেছে পরিবহণ দফতর। সেই প্রযুক্তির ফলে সহজেই কোনও গাড়ির গতিবিধি জানতে পারে পুলিশ প্রশাসন ও পরিবহণ দফতর। এ বার সেই প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের অ্যাপকে যুক্ত করে পুল কারের লোকেশন কোথায় রয়েছে, তা অভিভাবকদের জানাতে উদ্যোগী হয়েছে দফতর।
এখনও এই অ্যাপটির কোনও নাম না দেওয়া হলেও, পরিবহণ দফতরের কর্তারা আপাতত তাকে 'ভিএলটিডি অ্যাপ' নামেই ডাকছেন। পরিবহণ দফতরের তরফে এই অ্যাপটি প্রত্যেক স্কুলকে দেওয়া হবে। সেখানে বিভিন্ন স্কুলবাসের তথ্যও থাকবে। অভিভাবকদের ওই অ্যাপটি স্কুলের তরফ থেকে দেওয়া হবে। যে গাড়িতে ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে, সেই গাড়ির নম্বর অ্যাপে দিলেই অভিভাবকরা স্কুলে যাতায়াতের সময় ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধির কথা জানতে পারবেন। এর ফলে স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে অভিভবকরা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। নতুন এই প্রযুক্তি আপাতত কেবল মাত্র কলকাতাতেই চালু করা হবে।
তবে পুল কার সংগঠনের তরফে পরিবহণ দফতরের এমন উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, যদি একটি অ্যাপের মাধ্যমে পুল কার বা স্কুলবাসগুলিকে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হয়, তা হলে পারমিট থাকা সব গাড়িকেই ওই অ্যাপের আওতাভুক্ত করতে হবে। যা খুবই কঠিন কাজ। কারণ কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলা মিলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুল কার চলে। এই বিরাট সংখ্যক পুল কারকে অ্যাপের মধ্যে নিয়ে আসা কষ্টকর কাজ বলেই মনে করছে পুল কার মালিকদের সংগঠন।
পুল কার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘২০১৭ সাল থেকে আমরাও সংগঠনগত ভাবে একটি অ্যাপ চালু করেছিলাম। এখন আবার পরিবহণ দফতর এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে, তবে এটা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য একটা ভাল দিক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এমন অনেক গাড়ি আছে, যেগুলি পুল কার হিসেবে চলাচল করে। কিন্তু পুল কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বা এমন অনেক গাড়ি আছে যে গুলিকে মাঝে মাঝে পুল কারের জন্য ব্যবহার করা হয়। সেই সব গাড়ির ব্যাপারে পরিবহণ দফতর কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তার উপরেই নির্ভর করছে এই অ্যাপের সাফল্য।’’