হাওড়া ও শিয়ালদহের ধাঁচে রাজ্যের অন্য শহর ও শহরতলিতে এ বার প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালু করতে চায় পরিবহণ দফতর। —ফাইল চিত্র।
হাওড়া ও শিয়ালদহের ধাঁচে রাজ্যের অন্য শহর ও শহরতলিতে এ বার প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালু করতে চায় পরিবহণ দফতর। যে ভাবে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দূরত্ব অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়, নতুন প্রিপেড ট্যাক্সি বুথগুলিতেও সেই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। মূলত শিল্পাঞ্চল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে এই পরিষেবা চালু করে আর্থিক ভাবে এলাকার উন্নয়নের দিকে লক্ষ রেখেই নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দফতর। এক কথায়, শহরতলির সাধারণ মানুষের হন্যে হয়ে সুলভে গাড়ি খোঁজার দিন শেষ হতে চলেছে।
ব্যারাকপুর, বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, মালদহের মতো শহরে এই পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে আগ্রহী দফতর। তাই এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে পুলিশ কমিশনারেটকে। আপাতত জবাবের অপেক্ষায় পরিবহণ দফতর। প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালুর অনুমতি পাওয়া গেলেই এই বিষয়ে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। এই পরিষেবা চালু হয়ে গেলে পর্যটন কেন্দ্রগুলি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার কিংবা সিকিম যেতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে গাড়ির প্রয়োজন হয় পর্যটকদের। সে ক্ষেত্রে সুযোগ বুঝে চড়া দামে গাড়ি ভাড়া দেন গাড়িমালিক তথা চালকেরা। বাধ্য হয়েই পর্যটকদের অনেক টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া নিতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে গাড়ির অপ্রতুলতা ও গাড়িভাড়া নিয়ে অভিযোগ আসছিল পর্যটকদের তরফ থেকে। তার পরেই শহর ও শহরতলিতে এই প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ চালুর ভাবনা শুরু হয়। পর্যটন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা আপাতত প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ তৈরি নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে যেমন প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ রয়েছে, সেই ধাঁচেই তৈরি হবে ছোট শহরের বুথগুলি।’’ শিল্পাঞ্চলগুলিতেও কর্মব্যস্ততার জন্য ট্যাক্সির প্রয়োজনীয়তা বেশি। সে কথা বুঝেই পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলগুলিতেও এই ধরনের প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ শুরু করার পক্ষপাতী পরিবহণ দফতর।