digha

Digha: ‘অশনি’র আশঙ্কা কাটতেই ফিরল ভিড়! ভরা কটালের জলোচ্ছ্বাস দেখতে ছুটির দিনে জমজমাট দিঘা

জোয়ারের সময় সকালে দিঘায় সমুদ্রস্নানে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। পর্যটকদের সমুদ্রে নামা থেকে বিরত রাখেন কর্তব্যরত নুলিয়ারা। যদিও জলের গতিবেগ কিছুটা কমলে দুপুরের দিকে নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাট-সহ একাধিক জায়গায় সমুদ্রস্নানে মেতে ওঠেন বহু পর্যটক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ১৬:৪১
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

‘অশনি’র আশঙ্কা কাটতেই আগের চেহারায় ফিরল দিঘা। রবিবার ছুটির দিনে সময় কাটাতে অনেকেই সপরিবার ছুটে এসেছেন সমুদ্রতটে। উপরি পাওনা ছিল পূর্ণিমার ভরা কটালের ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস। ফলে আবারও জমজমাট দিঘা।

সংক্রান্তির পাশাপাশি রবিবার পূর্ণিমার ভরা কটাল। তবে শনিবার রাত থেকেই উত্তাল দিঘার সমুদ্র। রবিবার সকালেও তার দাপট কমেনি। বেলার দিকেও জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাস ছিল নজরকাড়া। সমুদ্রের উত্তাল রূপ দেখতে ভিড় জমান পর্যটকেরা। তবে জোয়ারের সময় সকালে সমুদ্রস্নানে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। পর্যটকদের সমুদ্রে নামা থেকে বিরত রাখেন কর্তব্যরত নুলিয়ারা। যদিও জলের গতিবেগ কিছুটা কমলে দুপুরের দিকে নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাট-সহ একাধিক জায়গায় সমুদ্রস্নানে মেতে ওঠেন বহু পর্যটক।

Advertisement

ছুটি কাটাতে দিঘায় এসেছেন কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা সুরভি বিশ্বাসও। তিনি বলেন, ‘‘স্বল্প সময়ের বেড়াতে বেরলে আমাদের প্রথম পছন্দ দিঘা। লকডাউনের সময় বাদ দিলে বছরে বেশ কয়ে কবার পরিবারের সঙ্গে এখানে চলে আসি। শনিবার সন্ধ্যায় দিঘায় এসেছি। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ।’’ যদিও সুরভি বলেন, ‘‘আগাম বুকিং না করে দিঘায় এলে পছন্দের ঘর পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।”

সমুদ্রের মতোই ব্যবসায় জোয়ার আসায় খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরা। এক হোটেলমালিক, ‘‘স্কুলগুলিতে ছুটির জেরে গত সপ্তাহে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল দিঘা। ইদের ছুটিতেও ভিড় হয়েছে। অধিকাংশ হোটেলেই হাউসফুল বোর্ড ঝুলছে। তবে ‘অশনি’র আশঙ্কায় সমুদ্রস্নানে বিধিনিষেধের জেরে ধীরে ধীরে হোটেলগুলি খালি হয়ে যায়। সপ্তাহান্তের ছুটিতে শনি ও রবিবার আবারও দিঘায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে।’’ দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনা’র ধাক্কায় প্রায় দু’বছর চূড়ান্ত মার খেয়েছিল দিঘার হোটেল ব্যবসা। অবশেষে পর্যটন ব্যবসা আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। স্কুল ছুটি থাকায়ও ভিড় বাড়ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement