বছরের প্রথম দিনে দার্জিলিং ম্যালে পর্যটকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে গত কয়েকদিন থেকেই দার্জিলিং এবং সিকিমের উঁচু পাহাড়ে তুষারপাত চলছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় চলছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কিন্তু দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়া দফতেরর আধিকারিকরা। আর কয়েকদিনে ঝঞ্ঝা একটু দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তাঁরা। তাই তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি গিয়েও বরফ পড়ছে না দার্জিলিং শহর এবং তার আশপাশে। আগামী কয়েকদিনএকই পরিস্থিতি থাকবে। তার সঙ্গে সমতলের কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশার দাপটও দেখা যাবে বলেই ইঙ্গিত আবহাওয়াবিদদের।
গত কয়েক বছর থেকেই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বরফ পড়েছে দার্জিলিংয়ে। এ বারও ঝঞ্ঝার দাপট রয়েছে। চলছে বৃষ্টি। রবিবার মরসুমের শীতলতম দিন ছিল দার্জিলিংয়ে। এ দিন তাপমাত্রা ০.৮ ছিল বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু তুষারপাত কোথায়? অনেক পর্যটক এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন। দার্জিলিংয়ে বরফ পড়লেই তাঁরা গিয়ে হাজির হন সেখানে। আবহাওয়া আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, তুষারপাতের জন্য কেবল শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রাই নয়, আরও কয়েকটি প্রাকৃতিক বিষয় যুক্ত থাকে।
সিকিমে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘শূন্য ডিগ্রির অক্ষরেখা দার্জিলিং শহর থেকে এখন অনেকটাই উপরে অবস্থান করছে। আরও কয়েকটি প্রাকৃতিক পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তবে তুষারপাত সম্ভব। এই সপ্তাহটা দেখা যাক, তুষারপাত হয় কিনা।’’ আধিকারিকোরা জানাচ্ছেন, গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ৬ বার তুষারপাত পেয়েছে দার্জিলিং এবং আশপাশের এলাকা। এই সময়েই ঝ্ঞ্ঝার দাপট মারাত্মক থাকে। আর কয়েকদিনে তা একটু কমে যাবে বলেই জানান তাঁরা। তবে সান্দাকফু, সিকিমের লাচেন, লাচুং, ছাঙ্গু এবং নাথু লা-র মতো এলাকায় নিয়মিত তুষারপাত হয়ে চলেছে। তা আরও কয়েকদিন চলবে। তার সঙ্গেই সমতলের জেলাগুলি, গৌড়বঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট শুরু হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা বেড়ে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই নামবে বলেই ইঙ্গিত তাঁদের।