গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। একই সঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও ছ’জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করার কথা। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালত পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। শনিবার থেকেই তার তোড়জোর শুরু করে সিবিআই।
আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা? কী হবে সন্দীপ-সহ বাকি ছ’জনের
শনিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। আদালতের নির্দেশে ধৃত বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলেই ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে। শনিবার সেখানে গিয়ে সব বন্দোবস্ত করে আসেন সিবিআই কর্তারা। কোন জায়গায় এই পরীক্ষা করা হবে, পরীক্ষার জন্য কী কী সরঞ্জামের প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছেন তদন্তকারীরা। কবে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হবে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মতো রবিবার কিংবা সোমবারের মধ্যেই ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করবে সিবিআই। এই খবরে নজর থাকবে আজ।
আরজি করের তদন্ত নিয়ে কিছু কি বলবে সিবিআই
আরজি কর-কাণ্ডে দ্রুত বিচার চেয়ে পথে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, এমনকি, সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কিত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার কিনারা করতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হবে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তের বিষয়ে সিবিআই কিছু জানায় কি না বা তদন্তকারী সংস্থাটি নতুন কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সে দিকে নজর থাকবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ড: ছুটির কলকাতাতেও মিছিল
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আজও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে কলকাতায়। তার মধ্যে অন্যতম রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিক মিছিল। যে মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির উদ্যোক্তাদের তরফে। রবিবার সেই মিছিলের স্লোগান— ‘দফা তিন দাবি তিন, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিন’। সেই মিছিলের খবরে নজর থাকবে।
ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি কেমন
ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায়। বন্যায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। ঘরছাড়া এক লক্ষেরও বেশি মানুষ। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ১৭ লাখ মানুষ। বিভিন্ন সড়ক, চাষের জমি কার্যত জলের তলায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। ১৯ অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৫৮টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষ। অন্য দিকে, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিও ভয়াবহ। বৃষ্টি কমলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। এখনও বহু এলাকা জলের নীচে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বাংলাদেশের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। জলবন্দি হয়ে আছেন প্রায় ৯ লক্ষ পরিবার। বন্যার জেরে সে দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। আজ এই খবরে নজর থাকবে।
৫) দক্ষিণের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টি, উত্তরবঙ্গে কেমন
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণের সমস্ত জেলায়। আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তেমন চিন্তার কারণ নেই। কেবল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর ও মালদহে রবি ও সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।