State News

বুদ্ধকে অব্যাহতি, রাজ্য কমিটি থেকে বাদ শ্যামল, মদন, দীপক

কলকাতায় দলের ২৫তম রাজ্য সম্মেলন থেকে সিপিএমের যে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হতে চলেছে, তাতে নাম থাকছে না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সঙ্গেই সরে যাচ্ছেন শ্যামল চক্রবর্তী, মদন ঘোষ, দীপক সরকার, দীপক দাশগুপ্তের মতো রাজ্য সিপিএমের একঝাঁক প্রথম সারির মুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৮ ১৪:১৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

এত দিন মাঠে ময়দানে দলের কর্মসূচি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্য সিপিএমে নিজের পদটুকুও ছেড়ে দিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

Advertisement

কলকাতায় দলের ২৫তম রাজ্য সম্মেলন থেকে সিপিএমের যে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হতে চলেছে, তাতে নাম থাকছে না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সঙ্গেই সরে যাচ্ছেন শ্যামল চক্রবর্তী, মদন ঘোষ, দীপক সরকার, দীপক দাশগুপ্তের মতো রাজ্য সিপিএমের একঝাঁক প্রথম সারির মুখ। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু অবশ্য তার শারীরিক সক্ষমতার কারণেই ব্যতিক্রম হিসাবে কমিটিতে থাকছেন। অসুস্থতার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক পদ ছেড়ে দিলেও রাজ্য কমিটিতে গৌতম দেবকে রাখা হচ্ছে বলে সিমিএম সূত্রে খবর।

সম্মেলনের শেষ দিনে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট এবং এম এ বেবির উপস্থিতিতে বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠতে এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। এর পরে সম্মলেনের শেষ পর্বে নতুন রাজ্য কমিটির নামের তালিকা পেশ করা হবে সব থেকে বেশি প্রতিনিধি অনুমোদন নেওয়ার জন্য।

Advertisement

আরও পড়ুন: বক্তা সূর্যকান্ত, নীরবে বেরিয়ে গেলেন বুদ্ধদেব

আরও পড়ুন: সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই ভাল মানুষের সার্টিফিকেট!

কলকাতার বাইরে দলের কোনও বৈঠকে বেশ কিছু দিন ধরেই আর যান না বুদ্ধবাবু। আগেই দলের পলিটব্যুরো থেকে সরে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তিনি এখন আমন্ত্রিত সদস্য। কিন্তু দলের রাজ্য কমিটি এবং রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিসাবে নিয়মিত আলিমুদ্দিনের বৈঠকে যোগ দিতেন। এ বার সম্মেলন পর্বের আগে তিনি সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমানবাবুদের লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই যেন তাঁকে নতুন রাজ্য কমিটিতে আর বিবেচনা করা না হয়। তার সেই আর্জিকেই মান্যতা দিচ্ছে আলিমুদ্দিন। পাশাপাশি এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য কমিটির সদস্য থাকতে গেলে বয়স হতে হবে ৭৫-এর মধ্যে। এই সূত্র মেনেই এ বার শ্যামলবাবু মনোজবাবুদের সরে দাঁড়াতে হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় এম এ বেবি-র নাম ভুলবশত এম এ বেদী লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement