CCTV Camera

ধানের ওজনে কারচুপি ঠেকাতে সিসি ক্যামেরা

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। সহায়ক মূল্যে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেখানে ওজনে কারচুপির অভিযোগে ক্রমেই জেরবার হয়ে উঠছিল খাদ্য দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৫
Share:

নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি— দুইয়েরই দাওয়াই হতে চলেছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা)। আর জি কর আবহে সরকারি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি এ বার দুর্নীতি দমনে রাজ্যের বিভিন্ন ধান বিক্রয় কেন্দ্রে ওজনে কারচুপি রুখতে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। সহায়ক মূল্যে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেখানে ওজনে কারচুপির অভিযোগে ক্রমেই জেরবার হয়ে উঠছিল খাদ্য দফতর। বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে অভিযোগের পাহাড় জমে উঠেছিল গত কয়েক বছরে। এ বার তা রুখতে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি ধান বিক্রয় কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের খরিফ মরসুমে ৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। বেনফেড, কনফেড কিংবা নাফেড ছাড়া রাজ্যের খাদ্য দফতর এ বার সরাসরি ডব্লুবিইসিএসসি এবং বিপিএএমসিএল সংস্থার মাধ্যমে ধান কিনবে। ধানের সহায়ক মূল্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি সংস্থার কাছে ধান বিক্রি করলে চাষিদের কুইন্টাল প্রতি ২০ টাকা অতিরিক্ত উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে রাজ্য।

Advertisement

গত বছর ধানের সহায়ক মূল্য ছিল কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা। এ বার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩০০ টাকা। তবে কেনা হবে শুধু ই-প্যাডি পোর্টালে রেজিস্ট্রিকৃত চাষিদের কাছ থেকেই। ধান বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট স্লট বুকিংয়ের পরে ধান বিক্রি ও তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে, নবান্নের দাবি। তবে বিরোধীদের কটাক্ষ, নির্দিষ্ট সময়ে সেই সহায়ক মূল্য পাবেন তো তাঁরা? তাঁদের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে সহায়ক মূল্যের চেক বাউন্স করার নজিরও কম নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement