ছবি- সংগৃহীত
এক তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দলের নদিয়া জেলার যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুব সভাপতি শুভঙ্কর সিংহ যিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর অনুগামীরাই চাকদহের তৃণমূলকর্মী নারায়ণ দে-কে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন যিশু। প্রসঙ্গত, নারায়ণ চাকদহ এলাকায় তৃণমূলের রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রত্না ঘোষ করের অনুগামী এবং ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ নারায়ণের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। গুলির খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন এলাকার তৃণমূলকর্মীরা। এর পর প্রথমে নারায়ণকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার পরিবার জানিয়েছে, নারায়ণের গলায় গুলি লেগেছে। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
নারায়ণের পরিবারের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণ তাঁর বাড়ির পাশে একটি বাগানবাড়িতে বসেছিলেন। সেই সময়েই তাঁর উপর গুলি চালানো হয়। কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর নারায়ণের অভিযোগ, যিশু সিংহের নেতৃত্বে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, গুলি ছুড়েছেন তানু, গুড্ডু, বিপ্লব ও রতন পাল নামে কয়েক জন স্থানীয় তৃণমূলকর্মী। শুধু তাই নয়, এর আগেও তাঁর উপর হামলা চলেছে বলে অভিযোগ করেন নারায়ণ।
নারায়নের অভিযোগের পর যিশু বলেন, ‘‘নারায়ন দে এক জন পরিচিত ক্রিমিনাল। তিনি কখনওই তৃণমূলকর্মী ছিলেন না। বিধানসভা ভোটে রত্না ঘোষ করের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে বিজেপি করেছে। আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তবুও আমরা চাই প্রত্যেক নাগরিক সুরক্ষিত থাকুন। সঠিক বিচার হোক এবং যাঁরা দোষী, তাঁরা শাস্তি পাক।’’
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের আদালতে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।