তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রচারেও যুব তৃণমূল!
আগামী ২৮ অগস্ট গাঁধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন (টিএমসিপি)-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। ওই সভার মূল বক্তা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রচারে শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় পোস্টার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। সেই হোর্ডিংয়ের নীচে লেখা, ‘‘তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্তৃক প্রচারিত’।
কিন্তু এত দিন তো টিএমসিপির এই বার্ষিক সভার আয়োজনের মূল দায়িত্ব শুধুমাত্র ছাত্র সংগঠনের হাতেই থাকত। এ বার সংগঠনের নেতৃত্বহীনতার জন্যই যুবকেও ছাত্রর সঙ্গে একসঙ্গে ওই সভার প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এই সমাবেশের মূল আয়োজক টিএমসিপি এখন কার্যত নেতৃত্বহীন। কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তি চক্রের জন্য সংগঠনের সভানেত্রী জয়া দত্তকে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এখনও নতুন কোনও সভাপতির নাম ঘোষণা হয়নি দলের তরফে। এই অবস্থায় সংগঠনের রাশ যে আরও খানিকটা যুব তৃণমূল টেনে রেখেছে, তা স্পষ্ট এই হোর্ডিংয়ের প্রচারে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দিন কয়েক আগে গাঁধীমূর্তির পাদদেশেই সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন। বিজেপি মমতা-বিরোধী বলে মন্তব্য করেছিলেন শাহ। সেই সভার জবাব দিতে ২৮ অগস্টের সভাকেই বেছে নিয়েছেন মমতা। ওই সভায় বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করার কথা তৃণমূল নেত্রীর।