জয়ের পর তৃণমূলের প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কাঁথি উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না কারও। কিন্তু রাজ্যের রাজনীতি মহলে প্রধান কৌতূহল ছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের ‘অধিকারী সাম্রাজ্যে’ কতটা ছাপ ফেলতে পারবে বিজেপি। দেখা গেল, উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের ঢেউয়ে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবিরকে এ রাজ্যের মাটিতে আরও বেশি করে ঝাঁপানোর ‘অক্সিজেন’ সরবরাহ করল কাঁথি দক্ষিণের উপনির্বাচনের ফল। ৯৫,৩৬৯ ভোট পেয়ে এক নম্বরে শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বামেদের সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। তাদের প্রার্থী সৌরীন্দ্রমোহন পেয়েছেন ৫২,৮৪৩ ভোট। সিপিআই পেয়েছে ১৭,৪২৩। কংগ্রেস ২,২৭০।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে সভা কীসের, ডোমকল নিয়ে সরব বিরোধীরা
ফল প্রকাশ হওয়ার পর তৃণমূলের উচ্ছ্বাস
তথ্য বলছে, ২০১১-র বিধানসভা, ২০১৪-র লোকসভা এবং গত বছরের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ কাঁথিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছিল বামেরাই। এর মাঝে তমলুক লোকসভা উপনির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার ফল বিজেপির প্রভাব বৃদ্ধির একটা ইঙ্গিত দিয়েছিল। ওখানে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। কিন্তু এ বারের উপনির্বাচনে বিজেপি শুধু দু’নম্বরেই উঠে আসেনি, তাদের ভোটবৃদ্ধি যে হারে হল তা শাসক দলের পক্ষে যথেষ্টই চিন্তার কারণ। ২০১৬র বিধানসভা ভোটে ১৫ হাজারের মতো ভোট পায় বিজেপি। এ বার তা সাড়ে তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে।
তবে তৃণমূলের দিক থেকে আশার কথা তাদের জয়ের মার্জিন বৃদ্ধি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা আসনে ৩৪ হাজারের মতো ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী। এ বার চন্দ্রিমা জিতলেন ৪২,৫২৬ ভোটে। দিব্যেন্দু লোকসভা উপনির্বাচনে তমলুক থেকে জেতার ফলেই এই আসনটি খালি হয়েছিল।
(ছবি: শান্তনু বেরা)