কেডি সিংহ
স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, বহিষ্কার করে কোনও লাভ নেই। তাতে কেডি সিংহ সাংসদ থেকে যাবেন। কিন্তু সারদা-কাণ্ডে রাজ্যসভার আর এক দলীয় সাংসদকে যেমন সাসপেন্ড করা হয়েছিল, কেডি-র ক্ষেত্রে তা করতে বাধা কোথায়? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল তৃণমূলের অন্দর মহল!
নারদ-কাণ্ডে স্টিং অপারেশনের টাকা কেডি-র সংস্থা মারফত এসেছিল, ম্যাথু স্যামুয়েল সিবিআইয়ের কাছে এই দাবি করার পরেই হইচই পড়েছে রাজ্যসভার ওই তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের একাংশ শাস্তির দাবি তুললেও শীর্ষ নেতৃত্ব কেডি-র ব্যাপারে ধীরে চলারই পক্ষপাতী। মমতা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যেই বলেছেন, কেডি-র ব্যবসার দৌলতে বিজেপি-র মদত তাঁর পিছনে থাকতে পারে। এখন নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের জেরে তৃণমূলই যখন বেকায়দায়, সেই সময়ে কেডি-কে কড়া শাস্তি দিতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে! এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে নিয়ে ধীরে চলা হচ্ছে বলে দলের একটি সূত্রের ব্যাখ্যা। তা ছাড়া, কেডি-র সঙ্গে দলের অন্তত দু’জন সর্বভারতীয় নেতার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। কেডি-কে নিয়ে টানাটানি হলে অন্যদেরও বিপাকে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, তবে কেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে আডবাণীরাই পছন্দ?
বিরোধীরাও কেডি-কে নিয়ে তৃণমূলের মেপে চলার অঙ্কের দিকেই ইঙ্গিত করছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যেমন শনিবার মন্তব্য করেছেন, কেডি আর যাতে দলের সম্পর্কে ‘গোপন’ তথ্য ফাঁস না করেন, তার জন্য মামলার ‘ভয়’ দেখানো হচ্ছে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুরে মন্তব্য করেছেন, ‘‘উনি (মমতা) তো সব চোরেদের সঙ্গে নিয়ে ঘর করেন! আর কেডি তো মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক বন্ধু। তিনি হঠাৎ আজ বিজেপি হয়ে গেলেন কী করে!’’ তৃণমূল অবশ্য পারিবারিক বন্ধুত্বের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।