অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পুজোর দিনগুলিতে জনসংযোগ চালিয়ে যেতে এ বার ‘অভিষেকের দূত’ কর্মসূচি চালু হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। কেন্দ্রীয় ভাবে না হলেও কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে এই কর্মসূচি নিয়েছেন শাসক দলের কয়েক জন বিধায়ক। দলীয় সূত্রে খবর, উৎসবের ব্যস্ততার মধ্যে এলাকার মানুষের প্রয়োজনে আলাদা ফোন নম্বর প্রকাশ করে সাহায্যের বার্তা দিতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। তৃণমূলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, নিজের মতো কোথাও কোথাও এই জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। হাওড়া জেলা যুব তৃণমূল এই উদ্যোগ সামনে এনেছে। বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। দুর্গাপুরে শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেককে আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী করবেন। রাজভবনের সামনে যে ধর্না হল, ওটা ‘লঞ্চিং প্যাড’ ছিল অভিষেকের জন্য। প্রবীণ নেতারা এসে এমন ভাবে তাঁর গুণ-কীর্তন করতে শুরু করলেন, দেখে মনে হচ্ছে ‘গীতগোবিন্দ’ রচনা হয়েছিল, এ বার ‘অভিষেকগোবিন্দ’ রচনা হচ্ছে!’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘‘প্রথমে দিদিকে বলো, দিদির দূত, এক ফোনে অভিষেক, এ বার আবার অভিষেকের দূত! সবংশে দূত! দূত আবার কি! পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রতি দিন মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার কথা যে সরকারের, তারা সেই কাজ করছে না। লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। তাই কখনও পিসির দূত, কখনও ভাইপোর দূতকে যেতে হচ্ছে!’’