ছবি: সংগৃহীত।
করোনা ও আমপান পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রচারে নামছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এই প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই দুটি বিষয় নিয়ে বিজেপি-সহ বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রচার চালাচ্ছে তার জবাব দিতেই এই পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। এই প্রচারের অভিমুখ ঠিক করে দিচ্ছেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
করোনার জেরে টানা আড়াই-তিন মাসের ‘লকডাউন’ পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে তৃণমূল। তার জবাবি প্রচারে নামতেই মঙ্গলবার দলের বিধায়ক ও পদাধিকারীদের নির্দেশ দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিয়ো কনফারেন্সে তিনি জানিয়েছেন, ৫ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব বিধানসভায় বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে পাল্টা তথ্য-সহ প্রচারে নামতে হবে বিধায়কদের। যেখানে দলের বিধায়ক নেই সেখানে ভারপ্রাপ্ত নেতারাই এই কাজ করবেন। নির্দিষ্ট দিনে সব বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেই এই দুই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাজের তথ্য তুলে ধরতে হবে। এই প্রচারে জন্য রাজ্যের করোনা ও আমপান পরিস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছে টিম পিকে। তারাই তা পৌঁছে দেবেন বিধায়কদের।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ত্রাণ নিয়েও এ দিন বৈঠকে আলোচনা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ত্রাণের কাজে কোনও রাজনৈতিক দল চান না মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে দলগত ভাবে তৃণমূলের ত্রাণের কাজও বন্ধ রাখতে হবে। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী, কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটি ‘সেল’ গঠনের প্রস্তাব দেন। বৈঠকে উপস্থিত দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তা নাকচ করে বলেন, করোনা ও আমপান-এর ফলে উদ্ভূত জরুরি অবস্থা নিয়ে দলের অনেকেরই অনেক পরামর্শ থাকতে পারে, তা দলের ভিতরেই জানাতে হবে। আমপান মোকাবিলায় কলকাতা কর্পোরেশনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ‘সেন্সর’ করা হয়েছিল মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গে অমিত শাহের ‘ভার্চুয়াল র্যালি’! সাজ সাজ রব রাজ্য বিজেপিতে
আরও পড়ুন: গরমে ট্রেনযাত্রা শেষে মৃত্যু কিশোর শ্রমিকের