প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ৬০ শতাংশ কাগজে-কলমে এখন তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের নিজের নিজের বুথে দলের কাজে নামাতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের আশা, শিক্ষকদের সামনে রাখা গেলে তাঁদের সামাজিক প্রভাব রাজনীতির লড়াইয়ে বিশেষ কাজে আসবে।
রাজ্যে পরিবর্তনের পরে সব স্তরেই শিক্ষক সংগঠনের বিন্যাসে বড় রকমের বদল হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যেও আড়েবহরে অনেকটাই বেড়েছে তৃণমূল। সরকারি হিসেব, এই মহূর্তে স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজারের মতো। পার্শ্বশিক্ষক কমবেশি ৩০ হাজার। দলের হিসেব, তাঁদের ৬০ থেকে ৬৫% এখন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। সদস্য পদ নিলেও তাঁরা দলের কোনও কাজে আসেন কী? নানা সময় দলীয় নেতৃত্ব দেখেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই অংশের উপস্থিতি কম। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বে বদলের পরেই নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘স্কুলের পড়াশোনা বজায় রেখেই সাংগঠনিক কাজ করবেন। নিজে যে বুথে ভোট দেন সেখানকার দলীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বলা হচ্ছে তাঁদের।’’ কী কাজ? সংগঠনের প্রস্তাব অনুযায়ী, শিক্ষার প্রসারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পদক্ষেপ প্রচারে থাকতে হবে।
বিভিন্ন শাখা সংগঠনের বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলে এই চর্চা বহু দিনের। শিক্ষক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তবে ‘স্পর্শকাতর’ অংশ হিসেবে এত দিন এখানে ‘হাত’ দেননি তাঁরা। এ বার লোকসভা ভোটের আগে এই অংশকে ছাড়তে রাজি নয় শাসক দল। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে শিক্ষকদের দলীয় কাজে যুক্ত করার এই উদ্যোগ কতটা যুক্তিযুক্ত? এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু বলেন, ‘‘শিক্ষকরা রাজনীতি করতে পারবেন না এই রকম নিয়ম তো নেই। স্কুলের দায়িত্ব সেরে নিশ্চই এ কাজ তাঁরা করতে পারেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ভালমন্দ নিয়ে তাঁরা রাস্তায় নামতেই পারেন।’’