ছবি: সংগৃহীত।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পদে রদবদলে একাধিক নাম আসছে দলের কাছে। এবং অনেক ক্ষেত্রেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার পরামর্শের সঙ্গে সেই তালিকা মিলছে না। পাশাপাশি প্রস্তাবিত রদবদল নিয়ে একাধিক জেলা থেকেও লিখিত আপত্তি আসায় দলের অন্দরে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। রাজ্য দলের এক শীর্ষ নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘দলে যে গণতন্ত্র আছে, এই প্রক্রিয়া তারই প্রমাণ।’’
সাংগঠনিক রদবদলের প্রক্রিয়ায় নতুন ব্লক সভাপতি বাছাই প্রক্রিয়ায় দাবিদারদের ‘শুনানি’ করছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা থেকে আসা রদবদলের এই প্রস্তাব অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় বাধা হচ্ছে টিম পিকে-র রিপোর্ট। প্রস্তাবিত নামের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের রিপোর্ট মিলছে না। তা ছাড়া জেলা থেকে আসা তালিকায় এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাঁদের ভাবমূর্তি নিয়ে সংশয়ের কথা আগেই দলকে জানিয়ে রেখেছে টিম পিকে। আবার দলের একটি অংশের দাবি, টিম পিকে-র সমীক্ষা বা প্রস্তাব মেনে রদবদল করা কঠিন। তাতে অনেক পুরনো সংগঠকই বাদ যেতে পারেন। ভোটের মুখে দলের পক্ষে তা ঝুঁকির কাজ হতে পারে।
একই ভাবে জেলা দলের তরফে পাঠানো তালিকা নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আপত্তি জানিয়ে ডজন খানেকের বেশি চিঠি এসেছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। এই চিঠিগুলির অধিকাংশ পাঠিয়েছেন দলের বিধায়কেরাই। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে সব জায়গায় সভাপতির ভাবমূর্তি বা সক্রিয়তা নিয়ে সমস্যা আছে, সেখানে বদল করতে হবে। দল সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন মতো সেই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
ভোটের মুখে দলের রাজ্য ও জেলা স্তরে একগুচ্ছ সাংগঠনিক রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একই লক্ষ্যে নীচেরতলায় পরিবর্তনের কাজ ততটা মসৃণ ভাবে করতে পারছেন না দলীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূ্ত্রে খবর, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব ব্লক স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের কাজ সেরে ফেলতে চাইলেও এই পরিস্থিতিতে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রত্যেকটি তালিকা ধরেই সংশ্লিষ্ট জেলা, ব্লকের নেতৃত্ব এবং স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহ মর্গে করোনায় মৃতের দেহ
ইতিমধ্যেই প্রায় সব জেলা থেকেই প্রস্তাবিত সেই তালিকা জমা পড়েছে। তবে তা নিয়ে জেলা ও ব্লক স্তরে মতপার্থক্যের আঁচও টের পেয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
একাধিক নাম প্রসঙ্গে দলের ওই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি পদে একাধিক দাবিদার থাকা তো যে কোনও রাজনৈতিক দলের জন্যই স্বাস্থ্যকর। পদাধিকারী বাছাইয়ে এই প্রক্রিয়াই তো হওয়া উচিত।’’