শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কথা হয়েছে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার হাসপাতালে গিয়ে হেফাজতে থাকা ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই জোড়া অভিযোগকে বিরোধী দলনেতার ‘মানসিক অবসাদ’ বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবারই ব্যক্তিগত চিকিৎসার প্রয়োজনে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়েই শনিবার গুরুতর দু’টি অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে আছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। হাসপাতালের ‘ইন্টারকম’ ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। হেফাজতে থাকা মন্ত্রীর সঙ্গে এ ভাবে কথা বলা যায় কি না, সেই আইনি প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। একই ভাবে নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয় এখনও এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কও বিস্তর। শুভেন্দুর দাবি, এ ব্যাপারেই সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য পুলিশের সদ্য মনোনীত ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সেই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে ভোট লুটের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসছে শুভেন্দুর হতাশা ততই বাড়ছে। সেই মানসিক অবসাদ থেকেই এই রকম সব অলীক ঘটনা কল্পনা করে সান্ত্বনা খুঁজছেন।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘‘শারীরিক পরীক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে এই অকৃতজ্ঞ শুভেন্দুর এই রাজনীতি ঈশ্বরও ক্ষমা করবেন না।’’