তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের পাল্টা বিজেপির সভার ঘোষণাও করেছেন মুকুলবাবু।—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের থাকাকালীন অন্তত দু’দশক ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ আয়োজনের মুখ্য দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়া সেই মুকুল রায়ই এ বার দাবি করলেন, ওই সভায় শহিদ পরিবারদের পিছনের সারিতে বসিয়ে ‘অপমান’ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের পাল্টা বিজেপির সভার ঘোষণাও করেছেন মুকুলবাবু।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টিকে বিজেপির ‘ঘৃণ্য চক্রান্ত’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘রাজ্য রাজনীতিতে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালনের অর্থ যাঁরা জানেন না, তাঁদের কথার গুরুত্ব দিতেও প্রবৃত্তি হয় না।’’
কিন্তু সে সভা কবে এবং কোথায় হবে, সে বিষয়ে এ দিন কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি মুকুলবাবু। বোঝাতে পারেননি, ঠিক কোন অর্থে দলীয় সভাকে ২১ জুলাইয়ের ‘পাল্টা’ বলতে চাইছেন তিনি।
মুকুলবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘২১ জুলাই শহিদ স্মরণের নামে রাজনৈতিক সমাবেশ করে তৃণমূল। সেখানে শহিদ পরিবারদের অপমান করা হয়। আমরাও বিজেপির শহিদ পরিবার গুলিকে নিয়ে সভা করব। বহরে যা ২১ জুলাইকে ম্লান করে দেবে।’’
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ২১ জুলাই তো বরাবরই ‘রাজনৈতিক’ সভা। তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন তখনও শহিদ পরিবারদের নিয়ে আসা হত। আজ হঠাৎ তিনি এ কথা বলছেন কেন? প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে মুকুলবাবুর প্রতিক্রিয়া, তাঁদের শহিদ স্মরণে দলের শহিদ পরিবারদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিজেপির সভায় তৃণমূলের সভার অন্তত ‘দ্বিগুণ’ লোক হবে। তবে কি ভিড় দেখানোটাই মুকুলবাবুর কথা অনুযায়ী ২১ জুলাইয়ের ‘চ্যালেঞ্জ’? কোনও স্পষ্ট জবাব তাঁর কাছে মেলেনি।
পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘কেউ কেউ অস্থির রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করে বাল্মীকি সাজতে চাইছেন। রাজ্যের মানুষ এই ঘৃণ্য চক্রান্তের যোগ্য জবাব দেবেন। তখন ওদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’