—ফাইল ছবি।
খড়্গপুরে রেলের যে বাংলোয় থাকেন দিলীপ ঘোষ, সেটি কারও নামে বরাদ্দ নেই। তথ্যের অধিকার আইনে এমনটা জানা গিয়েছে বলে দাবি করে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগ তুলল তৃণমূল।
এ নিয়ে দিলীপের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘আমি যে বাংলোয় আছি, সেটি রেল কমিটির মেম্বারের নামে রয়েছে। কমিটি নেই এখন। কমিটি তৈরি হলে আমার বরাদ্দ হবে। আমি সেখানে এমএমএ, এমপি হিসাবে মানুষের পরিষেবা দিয়েছি। এখনও তা-ই চলছে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবাশিষ চৌধুরীর দাবি, তিনি তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, দিলীপ যে বাংলোয় থাকেন, সেটি কারও নামে বরাদ্দ রয়েছে কি না। উত্তর এসেছে, বাংলোটির নম্বর ৬৭৭। সেটি রেলের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের নামে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। তার পর থেকে বাংলোটি আর কারও নামে বরাদ্দ নেই।
এ নিয়ে দিলীপকে সমাজমাধ্যমে বিঁধেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন,‘‘দিলীপ ঘোষ বলেছেন সবই রামের ইচ্ছায় হয়! তা হলে একটি প্রশ্ন, খড়্গপুরের যে বাংলোটিতে দিলীপবাবু গেলে থাকেন, ভগবান রামের ইচ্ছাতেই কি এই জবরদখল? তথ্য বলছে, বাংলোটির ব্যবহারকারীর মেয়াদ শেষ ২০২০ সালে। তার পাঁচ বছর পরেও দিলীপবাবু ওটা ব্যবহার করছেন কী করে? কারা দখল করে রেখেছে? কেন বিনা অনুমোদনে ব্যবহার চলছে?’’
দিলীপ বলেন, ‘‘৬ বছর নয়, ৮ বছর ধরে আছি আমি ওখানে। কুণাল ঘোষের কাছে তথ্য নেই। কুণাল ঘোষের প্রশ্নের জবাব দিলীপ ঘোষ দেবে না। দম থাকলে আসুক। প্রতি ওয়ার্ডে তৃণমূলের লোকেরা রেলের জায়গা দখল করে রয়েছে। ব্যবস্থা করছে নির্মাণ করে।’’