করিমপুরে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রশ্ন তুলল তৃণমূল 

কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, করিমপুরের প্রায় ৯০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র

আগামিকাল, সোমবার রাজ্যের যে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তার মধ্যে একমাত্র নদিয়ার করিমপুর তৃণমূলের জেতা আসন। সেখানে আনুমানিক ৯০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করছে নির্বাচন কমিশন। জঙ্গলমহল থেকে পাঁচ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে সেখানে। বাকি দুই কেন্দ্র উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর সদরে যথাক্রমে আনুমানিক ৪৩% ও ৭০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। খড়্গপুর বিজেপির জেতা আসন এবং কালিয়াগঞ্জ আসন খাতায়কলমে কংগ্রেসের হলেও লোকসভা ভোটে সেখানে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৫৭ হাজার ভোটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ‘অসম’ বণ্টন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল। আনুষ্ঠানিক ভাবেও আপত্তি জানাবে তারা।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে জঙ্গলমহলে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তার থেকেই পাঁচ কোম্পানি করিমপুরে পাঠাতে হচ্ছে রাজ্যকে। নবান্নের শীর্ষ মহলের মতে, জঙ্গলমহলে এখন মাওবাদী গতিবিধি না থাকলেও সেখান থেকে বাহিনী প্রত্যাহার যুক্তিযুক্ত নয়। নতুন পরিকল্পনায় উপনির্বাচনের

দিন করিমপুরের ২৬১টি বুথে থাকবে মোট ১০ কোম্পানি বাহিনী। খড়্গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে (বুথ সংখ্যা ২৭০ করে) থাকবে পাঁচ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Advertisement

বিজেপি গোড়া থেকেই ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আসছিল। তার জেরেই শেষ মুহূর্তে করিমপুরের জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করা হল কি না, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন ও পুলিশ অফিসারদের বদলি নিয়ে কমিশন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ইচ্ছা অনুযায়ী চলছে বলেই মনে হচ্ছে। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতেই পারে।’’ লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যের সংবিধান-আলোচনা কর্মসূচিতেও বিষয়টি আলোচনায় আনতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘‘মানুষের ভোটদান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই কমিশন করবে বলে আশা করি।’’ আর কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব

ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট করে বাহিনীর বিন্যাস প্রকাশ্যে বলা হয় না।’’

কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, করিমপুরের প্রায় ৯০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাকি বুথগুলিতে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ। কালিয়াগঞ্জে প্রায় ১২০টি একক ভোটকেন্দ্র (সিঙ্গল প্রেমাইস) রয়েছে। তাই সেখানে তুলনায় কম সংখ্যক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকবে। খড়্গপুরে অবশ্য ৭০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা যাবে। তিন কেন্দ্রে মোট ৮০১টি বুথের ৫০ শতাংশে ওয়েবকাস্টিং করা হবে।

ইতিমধ্যেই করিমপুরের থানাপাড়ার ওসি সুমিত ঘোষকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ করেছিল। যদিও নদিয়া জেলা প্রশাসনের দাবি ছিল, গত অগস্টে দায়ের হওয়া ওই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement