—ফাইল চিত্র।
দলের ২২তম প্রতিষ্ঠা দিবসকে ‘নাগরিক দিবস’ হিসেবে পালন করল তৃণমূল। প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘‘আমরা সবাই নাগরিক। মানুষের স্বার্থে আমাদের লড়াই চলছে, চলবে।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘নাগরিক দিবস’ পালন করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা। সেই মতোই রাজ্য জুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্যে নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রাখার কথা বলেছেন তৃণমূলের সর্ব স্তরের নেতা-কর্মীরা। স্বয়ং মমতা টুইট করে বলেছেন, ‘বুথে বুথে আমরা আজ নাগরিক দিবস পালন করছি। আমরা সকলেই নাগরিক এবং মানুষের অধিকারের জন্য তৃণমূল লড়াই করে যাবে’। সেই সঙ্গেই গত ২১ বছরে তৃণমূলের নানা লড়াইয়ের পথে এগোনোর ইতিহাস উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ’।
তৃণমূল ভবনে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল ভবনে বুধবার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে দলের পতাকা উত্তোলন করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘নাগরিকের অধিকার দেশে প্রতিষ্ঠিত। সেই অধিকারকে ধ্বংস করার যে প্রচেষ্টা চলছে, তাকে আমাদের ধ্বংস করে দিতে হবে।’’ তাঁর মতে, ‘‘আইন মানুষের জন্য। কিন্তু এমন আইন কেন্দ্রীয় সরকার করেছে, মানুষই যা প্রত্যাখ্যান করছে। মানুষের প্রতিবাদের কাছে সরকারকে পিছু হঠতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই রাস্তাতেই এগোচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসে নন্দীগ্রামে আত্মসমালোচনা শুভেন্দুর
বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরে রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। সেই ‘সেমি-ফাইনালে’ও বিজেপিকে রুখতে এনআরসি-ই কি হাতিয়ার? সুব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে যা পরিস্থিতি ছিল, তা এখন আর নেই। বিজেপির উদ্দেশ্য মানুষ ধরে ফেলেছেন। রাজ্যে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই সেটা বোঝা গিয়েছে।’’ বিজেপির নীতির জন্যই তারা হারবে বলে দাবি করার পাশাপাশিই সুব্রতবাবু বলেন, পুরভোটে এনআরসি-ও মুখ্য বিষয় থাকবে। পুরভোটের আগে নানা এলাকায় শাসক দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব যাতে মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্যও এ দিন বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, নতুন যাঁরা এসেছেন, তাঁরা আগ বাড়িয়ে সব কিছু না করে পুরনোদের মত নিয়ে ও সঙ্গে নিয়েই যেন চলেন।