TMC

‘বকেয়া দিচ্ছে না কেন্দ্র, বাংলার মানুষের পাশে মমতাই’, স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

১০০ দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বকেয়ার দাবিতে গত বছর দিল্লিতে ‘অভিযান’ করেছিল তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ, রাজ্যে ভোটে জিততে না-পেরে, টাকা আটকে আসলে বাংলার মানুষের প্রতি ‘বদলা’ নিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৯
Share:

(বাঁ দিকে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

১০০ দিনের কাজ, গ্রামসড়ক, আবাস যোজনা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার বকেয়া নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ নতুন নয়। প্রাপ্য অর্থের দাবিতে এ বার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চিঠি দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সামিরুল ইসলাম। এই স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। সামিরুল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ সচিব আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে মন্ত্রকের তরফে তাঁকে সদুত্তর দেওয়া হবে।

Advertisement

তৃণমূল সাংসদ সামিরুল তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের তরফে মানুষের বাড়ির টাকা দিচ্ছেন। ১০০ দিনের বকেয়া টাকাও মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্র টাকা আটকে রাখায় আসলে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার কোটি কোটি গরিব মানুষ।

১০০ দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বকেয়ার দাবিতে গত বছর দিল্লিতে ‘অভিযান’ করেছিল তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ, রাজ্যে ভোটে জিততে না-পেরে, টাকা আটকে আসলে বাংলার মানুষের প্রতি ‘বদলা’ নিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গত লোকসভা ভোটের আগে কয়েক লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরির টাকা পৌঁছেছিল। আবার চলতি ডিসেম্বরেই প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দেবে নবান্ন।

Advertisement

লোকসভা ভোটের আগে যেমন রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজের মজুরদের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দিয়েছিল, তেমনই ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি ছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই আবাসের টাকা দেওয়া হবে। দেখা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ‘দুরমুশ’ করে জিতেছে তৃণমূল। পদ্মশিবিরের আসন ১৯ থেকে কমে হয়ে গিয়েছে ১২টি। কিন্তু তৃণমূল প্রাপ্য আদায়ের দাবি লাগাতার উত্থাপন করে যাচ্ছে। সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেও তৃণমূল বঞ্চনাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে। সামিরুলের চিঠি তারই অংশ হিসাবে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement