বহরমপুরে পিএসি-র বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদ জেলায় এই প্রথম বৈঠক বসেছে জেলার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র। কিন্তু তাতে গরহাজির রাজ্যের শাসকদলের সাংসদ ও বিধায়ক-সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। ফলে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।
সোমবারের বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত সাংসদ, বিধায়কের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতিকে (তাঁরা দু’জনেই তৃণমূলের) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার পাট ও ধান চাষিদের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তাতে জেলার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী-সহ দলের বিধায়কেরা ছিলেন। ছিলেন বাম বিধায়কেরাও। কিন্তু অনুপস্থিত থাকলেন জেলার দুই তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন, সহ-সভাধিপতি বৈদনাথ দাস এবং তৃণমূলের বিধায়কদেরও দেখা যায়নি।
কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান এই অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা শুধু ভোটের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। তাঁরা জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রাখেন না। শুধু যেন তেন প্রকারে ভোটের জেতার অঙ্ক কষে চলেছেন।’’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ জানান, ‘‘বিশেষ কাজে কলকাতা থাকার জন্য তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বাকিরা কেন পিএসি-র বৈঠকে গরহাজির ছিলেন, তা বলতে পারবেন না।’’ যোগাযোগ করা হলেও মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান কিছু বলতে চাননি।
মুর্শিদাবাদ জেলায় এই প্রথম জেলার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক চলছে সংসদীয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি-র। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তা, কৃষি, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিযোগ, সেখানে শাসকদলের সাংসদ-বিধায়করা উপস্থিত থাকলে উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা যেত, কিন্তু তাঁরা অনুপস্থিত থেকে জেলার উন্নয়নের রূপরেখা প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সম্ভব হল না।
পিএসি-র চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা সকলকে আমন্ত্রণ করেছি। কিন্তু কেউ যদি উন্নয়নের বৈঠকে গরহাজির থাকেন, তা হলে আমাদের কিছু করার নেই।’’