মিমি চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
আচমকা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদ ছাড়লেন যাদবপুর লোকসভার তারকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ইতিমধ্যে এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। বস্তুত, তিনিও ঘাটালের সাংসদ দেবের পথে হাঁটলেন।
নলমুড়ি আর জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনে ছিলেন সাংসদ-নায়িকা মিমি। ইস্তফাপত্রে সাংসদ লিখেছেন, ‘‘২০১৯ থেকে ’২৪ পর্যন্ত আমার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যে সমর্থন আমি পেয়েছি, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি চেয়ারপার্সন হিসাবে চিকিৎসক, নার্স এবং সর্বোপরি রোগীদের কল্যাণার্থে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’’
কিছু দিন আগে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন অভিনেতা-সাংসদ দেব। পাশাপাশি তিনি ঘাটল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকেও ইস্তফা দেন। সংসদে ভাষণের পর সমাজমাধ্যমে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে দেবের পোস্ট এবং ওই ইস্তফার পর আসন্ন লোকসভা ভোটে তিনি আর প্রার্থী হবেন কি না, ওই আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু ওই শোরগোলের মধ্যেই গত শনিবার বিকেলে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। প্রথমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়নি। তবে ওই দুই বৈঠক শেষে সে দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে থাকা অভিনেতা এবং অধুনা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে যান দেব। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। বলেন, “আমি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না!” তার পর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হুগলির আরামবাগে গিয়েছেন দেব। সেখানে মমতা তাঁকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর দেব বলেন, ‘‘দিদির হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম। দিদির হাত ধরেই থেকে গেলাম। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী দিদি।’’ দেব ‘পর্ব’ মিটতেই তৃণমূলের আর এক সাংসদ মিমির এই ইস্তফা আলাদা করে তাৎপর্য তৈরি করেছে। যদিও এ নিয়ে মিমি কিংবা তাঁর দল তৃণমূল, কারও তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও বার্তা আসেনি।