কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন সম্ভব হয়েছিল। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যে সুরে কথা বলেছেন, প্রত্যাশিত ভাবেই সেই সুর শোনা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে এক জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নন্দীগ্রামে ওই ভাবে আন্দোলন হয়েছিল।’’
কল্যাণ আরও বলেছেন, ‘‘কোনও কোনও জায়গায় কোনও কোনও নেতা থাকেন, যাঁদের উপর স্থানীয় ভাবে দায়িত্ব দেওয়া থাকে। কিন্তু মাথার উপর কে? মাথার উপর হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডাকে সবাই ছুটে আসে। আজকে অনেকে বড় হতে পারেন। কিন্তু বড় হলেন কার ছায়ায়, সেটাই হল সব চেয়ে বড় ব্যাপার।’’ একই সঙ্গে কল্যাণ বলেন, ‘‘আমরা লড়াই করে এসেছি। এখনও লড়াই করছি। আর সেই লড়াইয়ের নেত্রী মমতা। জীবন অনেক বড়। যে লড়তে চায় লড়ুক, কিন্তু কেউ বেইমানি করলে খতম করে দেব!’’ কারও নাম না করলেও কল্যাণ রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করেই ওই মন্তব্য করেছেন বলে তৃণমূলের একাংশের অভিমত।
২০০৮ সালের ১০ নভেম্বর তৃণমূলের থেকে নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’ করে ‘সূর্যোদয়’-এর কথা বলেছিল সিপিএম। প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ হিসেবে পালন করে তৃণমূল। কিন্তু এ বার নন্দীগ্রামে ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’-র নামে আলাদা সভা করেছেন শুভেন্দু। পরে দলের তরফে ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ পালনের মঞ্চ থেকে ফিরহাদ বারবার উল্লেখ করেছেন, ‘‘কোনও ব্যক্তি নয়। দলনেত্রী মমতার জন্যই সব হয়েছে।’’
সেই সুর ছিল কল্যাণের বক্তব্যেও। শুভেন্দুর নামোল্লেখ না করে কল্যাণ বলেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূলে থাকতে চান না, অনেক দল আছে, তাঁরা সেখানে চলে যান। হয় তৃণমূলে থাকুন না হয় বিজেপি-তে চলে যান। দু’জনের সঙ্গে প্রেম ঠিক নয়। আর তৃণমূলে থাকলে পার্টি লাইন মেনে চলুন। কে বলেছে আপনি না থাকলে তৃণমূল থাকবে না? দরজা খোলা আছে। যে যেতে চায় চলে যাক।’’