Suvendu Adhikari

আদালতের নির্দেশ পেয়েই শুভেন্দুকে নোটিস অভিষেকের

অভিষেকের বিরুদ্ধে যে এখনও কোনও দুর্নীতির মামলা দায়ের হয়নি নোটিসে তা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:০৭
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী —নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মানহানি মামলার প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার বর্ধমানের সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন (ফার্স্ট কোর্ট) শুভেন্দুর কাছে জানতে চেয়েছেন, নোটিস পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে কেন তাঁর ওই ধরনের মন্তব্যের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না।

Advertisement

আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরে শুক্রবারই শুভেন্দুর আইনজীবী সৌমেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের ঠিকানায় নোটিস পাঠিয়েছেন অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। সেখানে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন শুভেন্দু। ধৃত সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি, ‘তোলাবাজি’ প্রসঙ্গ এবং নারদার গোপন ক্যামেরা অভিযানের উল্লেখও রয়েছে নোটিসে।

অভিষেকের বিরুদ্ধে যে এখনও কোনও দুর্নীতির মামলা দায়ের হয়নি নোটিসে তা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। সেই সঙ্গে মন্তব্য করা হয়েছে, শুভেন্দু রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই ডায়মন্ড হারবারের দু’বারের তৃণমূল সাংসদকে ‘অপরিণত’ এবং ‘শিশু’ বলে কটাক্ষ করছেন বিভিন্ন সভায়।

Advertisement

সংবাদ মাধ্যমে এবং সভা-সমিতিতে শুভেন্দু যাতে তাঁর সম্পর্কে কোনও আপত্তিজনক ও মানহানিকর মন্তব্য করতে না পারেন তার জন্য বর্ধমান আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আইনজীবী জানান, এ ধরনের মন্তব্যের ফলে অভিষেকের সম্মানহানি ঘটছে এবং তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য থেকে শুভেন্দুকে বিরত রাখতে সাময়িক স্থগিতাদেশের আর্জি জানান অভিষেকের আইনজীবী।

যদিও দু’পক্ষের বক্তব্য না শুনে স্থগিতাদেশ জারি করা উচিত হবে না বলে বর্ধমানের সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন (ফার্স্ট কোর্ট) শুভেন্দুকে নোটিস পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন অভিষেকের আইনজীবীকে। পাশাপাশি, নোটিস পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে কেন অভিষেকের আর্জি মেনে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না, সে বিষয়ে কৈফিয়ৎ তলব করেন বিচারক। তবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা কেন দ্রুত জরুরি, তা আবেদনকারী প্রমাণ করতে পারেননি বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে বিচারকের।

তৃণমূলের অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই সভায় এবংবৈদ্যুতিন মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অভিষেকের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শুভেন্দুর বক্তব্য টিভি চ্যানেল এবং নেট-মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তাতে জনমানসে অভিষেকের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement