সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে শনিবার গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা (শিবু)। তিনি জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি দলের ব্লক সভাপতিও। শিবুর বিরুদ্ধে দলের তরফে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা না হলেও, তাঁর অনুপস্থিতিতে সংগঠন কে দেখবেন, তা ঘোষণা করে দিল শাসকদল তৃণমূল।
রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু এবং বিরবাহা হাঁসদা। দলীয় কর্মসূচির পর সুজিত সংবাদমাধ্যমে জানান, শিবু সন্দেশখালি ২ ব্লকের সভাপতি। এখন থেকে তাঁর এলাকায় সংগঠন দেখবেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। গত সপ্তাহে দফায় দফায় হিংসার ঘটনায় শাহজাহান শেখের ‘শাগরেদ’ শিবু ও উত্তম সর্দারের নাম জড়িয়েছিল। তার পরেই উত্তমকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করে তৃণমূল। তার পরেই উত্তমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু শিবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি দলের তরফে। শনিবার সেই শিবু গ্রেফতার হওয়ার পরেই এলাকায় সংগঠনে নজর দিতে শুরু শাসকদল। সুজিত বলেন, ‘‘শিবপ্রসাদের এলাকায় দলের সংগঠন দেখবেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাতাহো।’’ শিবুর বিরুদ্ধে দল কোনও পদক্ষেপ করবে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘শিবপ্রসাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, ধৃত উত্তমের এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌর রায় নামে এক স্থানীয় নেতাকে।
শনিবার উত্তম ও শিবুর বিরুদ্ধে মামলায় গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তার পরেই শিবুকে গ্রেফতার করা হয় ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির এক তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় বসিরহাট আদালতে। তাঁর স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। শিশু সন্তানদের নিয়ে তরুণী একা থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনিই প্রথম শিবপ্রসাদদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশের কাছে প্রথমে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হলেও আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পরে গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টার ধারা যোগ হয়েছে মামলায়।