তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগ। ফাইল চিত্র।
তেহট্টের তাপস সাহার পর এ বার নদিয়ার আর এক তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। চাপড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনি ছয় লক্ষ টাকা তুলেছেন বলে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ। ২০১১ সাল থেকে রুকবানুর চাপড়ার বিধায়ক।
স্থানীয় বেশ কয়েক জনের দাবি, বিধায়ক রুকবানুর এবং তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ শুকদেব ব্রহ্ম চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কারও চাকরি হয়নি। টাকাও তাঁরা হাতে পাননি। যদিও চাপড়ার বিধায়ক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়ার নামে বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা নেন রুকবানুর। অনেকে বাড়ির ছেলের চাকরি জন্য জমি বিক্রি করেও টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তার পর ছ’ বছর কেটে গেলেও আজও কেউ চাকরি পাননি। টাকাও ফেরত পাননি। এ বার তাঁরা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের বিরুদ্ধে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনন্দবাজার অনলাইনকে রুকবানুর বলেন, ‘‘অভিযোগকারী যদি পঞ্চায়েত সদস্য জামশেদ আলি মণ্ডল হয়ে থাকেন, তবে একটা কথা বলতে পারি, তিনি তৃণমূলের টিকিটের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন। সুতরাং, ওঁরা আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে দলের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়েছে, দলের তরফে নিশ্চয়ই জবাব দেওয়া হবে।’’