সিজিও কমপ্লেক্সে পরেশ পাল। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন তৃণমূলের বিধায়ক পরেশ পাল। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ রয়েছে পরেশের বিরুদ্ধে। কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনার নেপথ্যে বেলেঘাটার এই বিধায়কের ‘নির্দেশ’ ছিল বলে অভিযোগ করেছিল অভিজিতের পরিবার এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সেই মামলার তদন্তেই সিবিআইয়ের তলব পেয়ে তাদের সল্টলেকের দফতরে এসে পৌঁছন পরেশ।
সকাল ১০টা নাগাদ পরেশের গাড়ি এসে থামে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। গাড়ি থেকে নেমেই সোজা হেঁটে ভিতরে ঢুকে যান পরেশ। সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। বরং সিজিও কমপ্লেক্সের লিফটের জন্য অপেক্ষারত পরেশকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে কিছুটা নির্বিকারই দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক ‘হিংসার ঘটনা’ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। যাকে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নাম দিয়ে একাধিক মামলা রুজু হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সেই সব মামলায় তৃণমূলের আরেক নেতা অনুব্রত মণ্ডলেরও নাম রয়েছে। পরেশের বিরুদ্ধে যে ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ সেটি ঘটে ২০২১ সালের ২ মে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এর পরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
এই ঘটনায় পরেশের বিরুদ্ধে ওই ‘হামলার নির্দেশ’ দেওয়ার অভিযোগ ছিল। তাঁকে ইতিমধ্যেই এক বার সিবিআই ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছে। গত মাসেই পরেশকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।