মুর্শিদাবাদের সালারে শাসকদলের কর্মিসভায় বিস্ফোরক দাবি করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীদের মারতে বোমা মজুত করছে তৃণমূলেরই লোকজন। শাসকদলের কর্মিসভায় এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, বিরোধী দলগুলির দাবিকে মান্যতা দিলেন শাসকদলেরই বিধায়ক স্বয়ং। যদিও হুমায়ুনের দাবি, তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সালারে কর্মিসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুমায়ুনের দাবি, ‘‘বোমা মজুত হচ্ছে বিধানসভায়। কেন হচ্ছে? সিপিএম মুছে গিয়েছে, কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। তা হলে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কর্মীদের মারতে বোমা মজুত করছে তৃণমূলই! আমি খুনের রাজনীতি সমর্থন করি না।’’ দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর নেতাদের ‘বার্তা’ দিয়ে তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমার কারও সঙ্গে চলতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমার সঙ্গে কম্প্রোমাইজ (আপস) করে চলতে হবে তাঁদের। আমার সঙ্গে কম্প্রোমাইজ না করলে এই এলাকায় চলা মুশকিল হবে।’’
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়তে দেরি করেননি বিরোধী দলের নেতারা। হুমায়ুনকে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত ভোট আসার আগে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই খুন হবেন তৃণমূলী কর্মীরা— এ কথা আমরা বলছি না, শাসকদলের বিধায়ক বলছেন। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে?’’ যদিও হুমায়ুনের এই মন্তব্যের দায় নেননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, ‘‘দল এ ধরনের বক্তব্যকে মান্যতা দেয় না। যিনি এ কথা বলছেন, এটা তাঁর দায়িত্ব।’’
চলতি সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে একাধিক জায়গায় গুলিচালনা ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। দু’টি ঘটনায় খুন হয়েছেন তৃণমূলের দু’জন কর্মী।