লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির। — ফাইল ছবি।
সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই হেফাজতে কী ভাবে মৃত্যু হল, সে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই আবহে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি মন্তব্য করলেন, ‘অসুখে মৃত্যু হয়েছে’ লালনের। এ-ও দাবি করলেন যে, চিকিৎসাও করা হয়েছিল অভিযুক্তের। পরে যদিও তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার ব্যারাকপুর সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল। সেখান থেকে বেরোনোর সময় লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর মৃত্যু হয়েছে অসুখে। আমরা চিকিৎসা করেছি। তার পরেই মারা গিয়েছেন। অনেকেই অসুস্থ অবস্থায় আসেন। তাঁদের সরকার যথাসাধ্য ভিতরে টিকিৎসা করে। আবার বাইরেও করে। কিন্তু কেউ মারা গেলে আমাদের কিছু করার নেই।’’
যদিও এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই অখিল দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের বুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সংশোধনাগারে যে মৃত্যু হয়, আমি সেই বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। বগটুই নিয়ে কোনও কথা বলিনি।’’
দু’দিনের মেঘালয় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছেন তিনিও। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘ধিক্কার জানাই এই ঘটনাকে। সিবিআই যদি এত স্মার্ট হয়, কেন হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হল? ওদের সমস্ত ডিটেলস নিতেই হবে। ওঁর স্ত্রী এফআইআর করেছেন। আমরাও ইস্যুটি তুলব।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই শিবিরে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই দাবি করে, আত্মহত্যা করেছেন লালন। যদিও লালনের পরিবার তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে। সেই খুনের পর রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে লালনের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।