mid-day meal

মিড-ডে মিলের রিপোর্ট একপেশে! রয়েছে তথ্যের গরমিলও, চুরির অভিযোগ খণ্ডন করে দাবি ব্রাত্যের

গত বছরের ছ’মাসে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যে যে ১০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে, তা খণ্ডন করে বুধবার একে ‘অর্ধসত্য’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ২২:০৫
Share:

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টকে ‘একপেশে এবং কাল্পনিক’ বলে দাবি করল রাজ্য। —ফাইল চিত্র।

মিল-ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টকে ‘একপেশে এবং কাল্পনিক’ বলে দাবি করল রাজ্য। রিপোর্টে গত বছরের ছ’মাসে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যে যে ১০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে, তা খণ্ডন করে বুধবার একে ‘অর্ধসত্য’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর আরও দাবি, বিজেপি-বিরোধী রাজ্যগুলিকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে বিস্তর গরমিল রয়েছে বলে দাবি ব্রাত্যর।

Advertisement

মিড-ডে মিল নিয়ে তদন্তের জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্য থেকে ঘুরে গিয়েছে। দিল্লি ফিরে যাওয়ার পর যৌথ পর্যালোচনা মিশন নামে একটি কমিটি তার রিপোর্ট তৈরি করে। তবে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্রাত্যর দাবি, সেই রিপোর্টটি কোনও অজ্ঞাত কারণে রাজ্যকে দেখানো হয়নি। তার আগে তা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ওই প্রতিনিধিদলের ৭ সদস্যের মধ্যে রাজ্যের ৩ জন প্রতিনিধি থাকার কথা। তবে তাতে মাত্র ১ জন রাজ্যের প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘(রিপোর্টে) অর্ধসত্য, কাল্পনিক খবর দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। এটা বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিকে হেনস্থা করার এজেন্সি। জরুরি অবস্থার সময় এ রকম হয়নি।’’

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মিড-ডে মিল প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এ রাজ্যে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের দলের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ১৬ কোটি মিড-ডে মিলের ভুয়ো হিসাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। রিপোর্টে আরও দাবি, ছ’মাসের হিসাবে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড-ডে মিল দেখিয়েছে রাজ্য। এমনকি, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম খাবার পড়ুয়াদের সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা দাবি, ‘‘বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়ে ওঁরা (প্রতিনিধিদলের সদস্যরা) রাজ্যে এসেছিলেন, তা বোঝা যাচ্ছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এই রিপোর্ট চুপিসারে কোথায় তৈরি হল, জানতে চাই? কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে কি?’’ শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এ রাজ্যে ১.২ কোটি শিশু মিড-ডে মিল প্রকল্পের আওতায়। রাজনীতি থাকবে, তবে শিশুদের ব্যবহার করা সুস্থতার লক্ষণ নয়।’’

Advertisement

রিপোর্টটি যৌথ মিশনের হলে তাতে রাজ্যের তরফে ‘কুকড মিড-ডে মিল’-এর প্রকল্প অধিকর্তা টিকে অধিকারীর স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রতিনিধির স্বাক্ষর ছাড়াই রিপোর্ট দেয় কেন্দ্র। আমাদের সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের পর্যবেক্ষণ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে আপত্তি তুলে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। ২৭ এপ্রিল ৪ সপ্তাহের সময় পূরণ হবে। আমরা প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠি দেব কেন্দ্রকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement