TMC Inner Clash in Hooghly

মনোরঞ্জনকে বলাগড়েই ঢুকতে বারণ করল তৃণমূল, রুনাকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে হবে ‘বহিরাগত’ হিসাবে!

বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও তৃণমূলের রাজ্য যুবনেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব সংবাদ শিরোনাম। আপাতত বিধায়ককে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বলাগড়ে না যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৩৯
Share:

(বাঁ দিকে) মনোরঞ্জন ব্যাপারী, রুনা খাতুন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ঠেকাতে জেরবার তৃণমূল নেতৃত্ব! এর মধ্যেই বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও তৃণমূলের রাজ্য যুবনেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। তাই ঘরের দ্বন্দ্ব ঢাকতে আপাতত বিধায়ক মনোরঞ্জনকে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বলাগড়ে না যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বিধায়ক স্বয়ং।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেতৃস্থানীয় মনে করি, বন্ধুস্থানীয় মনে করি, শুভানুধ্যায়ী মনে করি, সে রকম জায়গা থেকেই আমাকে ফোন করে বলা হয়েছে আপাতত কয়েকদিনের জন্য আপনি বলাগড়ে যাবেন না।’’ তবে নিজের প্রতিবাদ যে তিনি চালিয়ে যাবেন সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিধায়ক। মনোরঞ্জন জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভ করে তিনি আবারও নিজের মতামত জানাবেন।

হুগলির বলাগড়-পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুব তৃণমূল নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য রুনা। তাঁর অভিযোগ, বিধায়ক তাঁর নামে আপত্তিকর শব্দবন্ধ ব্যবহার করে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। রুনার দাবি, পরে বিধায়ক সেই পোস্ট মুছে দিলেও তার স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বলাগড় থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়।

Advertisement

যদিও নিজের মুছে দেওয়া সেই পোস্ট প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন বলেছেন, ‘‘পোস্টটি করার কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে আমি আমার মন্তব্য মুছে দিই। যারা শকুনের মতো আমার ফেসবুকের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা ওই অল্প সময়ের মধ্যেই স্ক্রিনশট নিয়ে তা ভাইরাল করে দিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সমাজে আমারও সম্মান রয়েছে। বাড়িতে ছেলেমেয়ে রয়েছে, আমাকে ধর্ষক ও খুনি বলা হয়েছিল। তাই আবেগবশত আমি গালাগালি লিখে ফেলেছিলাম। সেই ঘটনার জন্য আমি রুনার কাছেও ক্ষমা চাইতে পারি। আমার ওই কথা লেখা উচিত হয়নি।’’ যুবনেত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন বলেও তাঁর স্বামী অরিজিৎ দাস ও রুনার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। মনোরঞ্জন বলেন, ‘‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও পুলিশ-প্রশাসন আমার পাশে রয়েছে বলেই আমি বলাগড় এলাকায় অনেক দুর্নীতির ঘটনা রুখে দিতে পেরেছি। কিন্তু আমি বলাগড়ে থাকলে অনেকের অনেক অসুবিধা। নদী থেকে বালি চুরি হলে আমি তা আটকে দেব। অনেকগুলি জুয়ার ঠেক রয়েছে যার মধ্যে একটি জুয়ার ঠেক চালান রুনার স্বামী। এলাকার মহিলারা এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন যে বাড়ির গয়না নিয়ে গিয়ে বাড়ির পুরুষরা জুয়ার ঠেকে জুয়া খেলছেন। বিধায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব থেকেই অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।’’ আপাতত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে বলাগড়ে যেতে না বলায় ক’দিন কলকাতা থেকেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের কাজকর্ম পরিচালনা করবেন ব্যাপারী। তবে অনুমতি পেলেই যে তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে যাবেন তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের এই লেখক-বিধায়ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement