TMC

সঙ্ঘের বৈঠকে তৃণমূল নেতারা, শোরগোল পড়ল শুভেন্দুর জেলায়

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এগরার ভবানীচক বসুন্ধরা বাজার ভবনে সঙ্ঘের এগরা-২ খণ্ডের রামমন্দির উদ্বোধন উদ্‌যাপন কমিটির বাসুদেবপুর শাখার উদ্যোগে বৈঠক শুরু হয়।

Advertisement

গোপাল পাত্র

এগরা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে এ রাজ্যেও গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তারই প্রস্তুতিতে সঙ্ঘ পরিবারের তরফে আয়োজিত বৈঠকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই দেখা গেল তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় নেতৃত্বকে।

Advertisement

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। বিজেপির দাবি, রাম সকলের। আর বৈঠকে হাজির তৃণমূল নেতাদের কেউ বলছেন, অরাজনৈতিক কর্মসূচি বলে গিয়েছিলেন। কারও আবার দাবি, সঙ্ঘের গোপন খবর জানতেই বৈঠকে হাজির ছিলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এগরার ভবানীচক বসুন্ধরা বাজার ভবনে সঙ্ঘের এগরা-২ খণ্ডের রামমন্দির উদ্বোধন উদ্‌যাপন কমিটির বাসুদেবপুর শাখার উদ্যোগে বৈঠক শুরু হয়। আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত সেবা প্রমুখ প্রকাশ মণ্ডল এসেছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠক শুরুর মিনিট পনেরোর মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দ্রশেখর জানা ও তৃণমূলের বুথের সদস্য বিকাশ সাহু-সহ তিন জন তৃণমূল নেতা। স্থানীয় বিজেপি নেতা, গ্রামের লোক মিলিয়ে বৈঠকে জনা পঞ্চাশেক উপস্থিত ছিলেন। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন বাসুদেবপুর অঞ্চলে প্রত্যেক বাড়িতে সঙ্ঘের তরফে ভোগ বিলি-সহ একাধিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ঘন্টা দেড়েকের বৈঠক শেষের আগেই বেরিয়ে যান তৃণমূল নেতারা।

Advertisement

রামমন্দির নিয়ে বিজেপি ধর্মের তাস খেলছে— এমন অভিযোগেই সরব তৃণমূল। তা-ও কেন সঙ্ঘের ডাকা বৈঠকে গেলেন? তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দ্রশেখরের যুক্তি, ‘‘অরাজনৈতিক ভাবে রামমন্দির নিয়ে বৈঠকে ডাকায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অনুুষ্ঠান। বিজেপি নেতারা বসে আছেন। সেই দেখে আমরা বেরিয়ে এসেছি।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দ্রশেখর আগে বিজেপিরই পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পরে তৃণমূলে এসেছেন। বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশের ভবানীচক বাজারে দোকান রয়েছে। দোকান বন্ধ করে অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে গিয়েছিলেন। বিকাশের দাবি, ‘‘সঙ্ঘের বৈঠকে খবর সাধারণত গোপন থাকে। সেই গোপন খবর জানতেই গিয়েছিলাম। কিছু পরে চলে এসেছি।’’

জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি জানি না। খোঁজ নেব।’’ তবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তরুণকুমার মাইতি বলেন, ‘‘উদ্যোক্তারা অরাজনৈতিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলেই আমাদের জনপ্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন।’’ অন্য দিকে, বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলছেন, ‘‘ঈশ্বর রাম সকলের। নিচুতলার তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও রামকে হৃদয়ে রেখেছেন। তৃণমূল নেতাদের এই বৈঠকে উপস্থিতিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement