সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নরম তৃণমূল। সংসদে তাঁকে ‘কাজে’ লাগাতে কলকাতার বার্তা গিয়েছে দিল্লিতে। এখনই দলের পতাকার নীচে আনার কথা না হলেও এই সুবক্তাকে সংসদীয় দলের কাছাকাছি রাখতে চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে ঋতব্রতকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। তার পরে তাঁরই এক বান্ধবী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেন ঋতব্রতের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে ঋতব্রতের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করে সিআইডি। এই অবস্থা থেকে রাজ্যের শাসক শিবিরের সঙ্গে ঋতব্রতের সম্পর্ক ১৮০ ডিগ্রি বদলে গিয়েছে! তৃণমূল সূত্রে খবর, ঋতব্রত সম্পর্কে দলের মনোভাব এখন ‘ইতিবাচক’। এই প্রসঙ্গ এড়ালেও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে ঋতব্রত অবশ্য বলেন, ‘‘রাজনীতিতে থাকব। তবে আমি তো আর হিন্দুত্বের রাজনীতি করতে পারব না।’’ তবে রাজ্যসভায় ঋতব্রতের ভুমিকায় তৃণমূল খুশি। দলহীন সদস্য হিসেবে সংসদীয় নিয়মে তৃণমূলের সঙ্গী হতে বাধা নেই ঋতব্রতেরও। রাজ্যসভায় প্রশ্নের ধরন বা সংসদীয় কমিটিতে তাঁর ভূমিকায় ইদানীং তৃণমূলের অবস্থানই প্রতিফলিত হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ঋতব্রতের সঙ্গে দলের সেতুবন্ধনের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্বে। দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ-নেতার মধ্যস্থতায় দলের এই মনোভাব জানেন ঋতব্রতও। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘ঋতব্রতের সঙ্গে নিয়মিতই কথা হচ্ছে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কাজকর্মের যথেষ্ট সাযুজ্য রয়েছে।’’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ ছিল, তা বিবেচনা করেই এই প্রক্রিয়া একটু ধীরেই এগোতে চাইছে তৃণমূল। সংসদীয় দলের কাছে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা অস্বীকার করেননি ঋতব্রতও। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিষয়ে কথা তো হয়।’’ তবে ঘনিষ্ঠতা কত গভীর, তা স্পষ্ট করতে চাননি তিনি।