প্রতীকী ছবি।
দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বেশ কিছু দিনের। দলের নির্দেশ তিনি যে বেশ কিছু দিন ধরেই মান্যতা দিচ্ছেন না, এ অভিযোগও নতুন নয়। বৃহস্পতিবার জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল দল বদলে তৃণমূলে পা বাড়ানোর পরে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে— দল ছেড়ে সিপিএমকেই বাঁচিয়েছেন রাজ্জাক!
দলীয় সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে বিধানসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর তার পর থেকে রাজ্জাকের দল বদল নিয়ে সন্দেহটা গাঢ় হয়েছিল। তবে রাজ্জাক বলে আসছিলেন, ‘‘সব মিথ্যা রটনা।’’
দলের অন্দরের খবর, শাসক দলের নেতার সঙ্গে বেসরকারী কলেজের ব্যবসা, স্থানীয় তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে তার যৌথ ভাবে ইট ভাটার ব্যবসা, ইশারা ছিল অনেক দিন ধরেই। এমনকি অভিযোগ, কিছু দিন আগে ওই বিধায়কের মেয়ের বিয়েতে ঘাম ঝরিয়ে বরযাত্রী থেকে আত্মীয়দের সামলে ছিলেন তৃণমূলের নেতারাই। সিপিএমের জলঙ্গি এরিয়া কমিটির সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের দলের কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেটা মেনে দলের ভেতরেই এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সতর্কও করা হয়েছিল ওই বিধায়ককে। ইট ভাটা ও কলেজের ব্যবসা থেকে তাকে সরে আসার জন্য আমরা বার বার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’ এদিন রাজ্জাক মণ্ডলকে ফোন করেও সাড়া মেলেনি। জবাব দেননি এসএমএসেরও। আর যে তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাজ্জাকের ইটভাটার ব্যবসা বলে দাবি সেই তহিরুদ্দিন মণ্ডল বলছেন, ‘‘সিপিএম এখন নিজেদের বিধায়ককে হারিয়ে পাগলের প্রলাপ করছে।’’