দিবাকর জানা। —ফাইল চিত্র
নেতার ঠিকানা আপাতত জেল হেফাজত। এক সময় তাঁর ‘নিয়ন্ত্রণে’ থাকা শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। যাঁদের অধিকাংশই ধৃত নেতার বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত।
বুধবার কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃণমূল ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের অধীনে থাকা সোনাপেত্যা টোল প্লাজা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা, জয়দেব বর্মন, অপূর্ব জানারা। ছিলেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল মান্নানও। এত দিন ওই কর্মীদের উপরে কার্যত ‘রাশ’ ছিল তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা তথা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিক মারধরে তিনি এখন জেলে। দল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে।
দিবাকরের ওই মারধরের ঘটনার পরেই শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। আগামী শনিবার নোনাকুড়ি বাজারে ব্লক তৃণমূলের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে থাকবেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভার আগে এ দিন টোলপ্লাজার অফিস সংলগ্ন একটি ঘরে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে বৈঠক করেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রের খবর, এতদিন দিবাকরের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই টোল প্লাজার কর্মীরা যাতে এবার দলের বর্তমান ব্লক নেতৃত্বদের কথামত চলেন, সেই বার্তা দিতেই এদিনের বৈঠক। এছাড়া, দিবাকরের অনুগামী স্থানীয় শ্রমিক নেতারা যাতে কর্মীদের নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করেন, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়। ওই টোল প্লাজায় প্রায় ১০০ জন কর্মী রয়েছেন। তাপবিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে তাঁদের জন্য আলাদা করে একটি পৃথক ইউনিয়ন গড়া হবে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
এ দিন টোল প্লাজার কর্মীদের বৈঠকে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, তাঁদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে। বৈঠকের বিষয়ে ব্লক তৃণমূল আহ্বায়ক শরৎ বলেন, ‘‘টোলপ্লাজার কর্মীদের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়নের বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আমরা তাঁদের দাবিগুলি শুনেছি। ওই সব দাবি নিয়ে দলের ও শ্রমিক সংগঠনের জেলার নেতৃত্বকে জানানো হবে। এরপর কর্মীদের দাবিদাওয়া পূরণে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’