বালি খাদান নিয়ে গোলমালের জেরে বর্ধমানের রায়নায় খুন হয়ে গেলেন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি।
রবিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মাধবডিহি থানার আলমপুরের কাছে রায়না ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম ওরফে বাবলুর (৪০) মোটরবাইক আটকে পরপর গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সকলেই তৃণমূল নেতা-সমর্থক বলে পরিচিত।
পরিবার সূত্রের খবর, বেশির ভাগ দিনই ভাগ্নে শেখ হালিমের বাইকে যাতায়াত করতেন বাবলু। রবিবারও আলমপুর বাজার থেকে ভাগ্নের সঙ্গে ফিরছিলেন তিনি। পুলিশকে হালিম জানিয়েছেন, স্থানীয় স্বর্ণপুকুরের পাড়ে ৬-৭ জনের একটি দল তাঁদের বাইক আটকায়। বাবলু কোন জন জেনে নিয়ে তাঁকে মারধর করে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পালাতে বলা হয়। বাইকটিও রাস্তায় পড়ে যায়। এর পরেই খুব কাছ থেকে বাবলুর মাথায় ও পেটে গুলি করে দুষ্কৃতীরা পালায়। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবলুকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়।
রাতেই নিহতের বোন হোসেনারা বেগম ছ’জনের নামে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ করেন। সোমবার শেখ কলিমুদ্দিন ওরফে বাপ্পা, তার বাবা সৈয়দ কুতুবউদ্দিন, শেখ আনিসুর, জামিল শেখ, দেবাশিস সামন্ত ও শেখ আব্দুল সেলিম— এই ছ’জনকেই ধরে পুলিশ। এর মধ্যে বাপ্পা এক সময়ে বাবলুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত ছিল। বাবলুর স্ত্রী রুনা লায়লা ও মা নুর বানুর অভিযোগ, দ্বারকেশ্বর এবং দামোদরের বালি খাদান ও লাগোয়া চালকলগুলি থেকে বাবলুর নাম করে তোলাবাজি করছিল বাপ্পা। তা জানতে পারার পর থেকেই দু’জনের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়। রুনার অভিযোগ, ‘‘সিপিএমের বিধায়ক বাসুদেব খানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাপ্পা আর তার দল আমার স্বামীকে মেরেছে। অন্যায় করতে দেয়নি বলেই ও মরল।’’ বাসুদেববাবু অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।