হাওড়ার আন্দুলের জনসভায় মদন মিত্র নিজস্ব চিত্র
বিজেপি সাংসদের ঢঙেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। হাওড়ায় মদনের হুঙ্কার, ‘‘দুধ মাঙ্গো গে তো ক্ষীর দেঙ্গে, বাঙ্গাল চাহগে তো চির দেঙ্গে’, অর্থাৎ দুধ চাইলে ক্ষীর দেব, রাজ্য চাইলে চিরে দেব।
মঙ্গলবার হাওড়ার আন্দুলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায় উঠে আসে সানি দেওল অভিনীত ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘মা তুঝে সালাম’-এর সেই সংলাপ। এ দিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তা উচ্চারণ করেছেন মদন। যদিও তাতে দু’একটি শব্দ রদবদল করেছেন মদন। ‘কাশ্মীর’-এর জায়গায় তিনি বসিয়েছে ‘বাঙ্গাল’ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গকে। ঘটনাচক্রে সানি এখন পঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদও বটে।
নন্দীগ্রাম থেকে দলনেত্রীর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার প্রতিজ্ঞার সুরে মদন বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে না পারলে নিজের হাতের পাঞ্জা কেটে নেব। তৃণমূলের পতাকা ধরব না।’’ সোমবার মমতার ঘোষণার পর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘প্রতিজ্ঞা’ করেন, তৃণমূল নেত্রীকে ৫০ হাজার ভোটে না হারাতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এ দিন এ প্রসঙ্গে মদন বলেন, ‘‘শুভেন্দু যত কম কথা বলবে ততই ভাল। না হলে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভায় ভিড় আরও বাড়বে।’’ শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নন্দীগ্রাম এবং খেজুরিতে পা দেওয়ার কথা এ দিন ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর খোঁচা, ‘‘তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট নিয়ে দল গড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। খারাপ লাগে বিজেপি-র আসল কর্মীদের কথা ভেবে।’’
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মদনের সতর্ক মন্তব্য, ‘‘রাজীব বুদ্ধিমান ছেলে। ও ভ্রান্ত পথে পা দেবে না। যত ক্ষণ ও তৃণমূলে আছে তত ক্ষণ আমার ভাইয়ের মতোই থাকবে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর ‘সরস’ মিশেল, ‘‘অনেক সময় গলা ভাল না থাকলে একটু বেসুরো সুর শোনা যায়।’’
মদনের ‘প্রতিজ্ঞা’ নিয়ে বিজেপি-র হাওড়া যুব মোর্চা সভাপতি ওম প্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হবেন। তাই মদন মিত্রের উচিত, নিজের হাতের পাঞ্জা কাটার আগে অপারেশনের ব্যবস্থা করে রাখা।’’