ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করে টুইট কুণালের। নিজস্ব চিত্র।
সকাল সকাল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বুধবার বিজেপির অফিস সেক্রেটারি প্রণয় রায় এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বৈঠকে কথা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এই বৈঠক পূর্বনির্ধারিত ছিল না। কিন্তু কুণাল নিজে মানিকতলা বিধানসভা এলাকার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে যান, যেখানে ধর্মেন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপি নেতার প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, ধর্মেন্দ্র ওই কর্মীর বাড়িতে সাংগঠনিক বৈঠকের পাশাপাশি নৈশাহারের জন্য গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীর বাড়ি যে আবাসনেকুণালও ওই আবাসনের বাসিন্দা। সেই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। কুণাল কাউকে না জানিয়েই ওই অনুষ্ঠানে আসেন। তাঁরা পূর্ব পরিচিত, রাজ্যসভায় তাঁদের কাটানো সময়ের কথা উল্লেখ করেন ধর্মেন্দ্র। দ্রুতই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই জায়গা থেকে চলে যান বলেই দাবি করা হয় বিবৃতিতে। বিজেপির এমন দাবির পর বাংলার রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
শেষমেশ বিকেলে টুইট করে বিজেপির এই লিখিত বিবৃতির জবাব দেন কুণাল। পরপর দু’টি টুইট করেন তিনি। টুইটে কুণাল লেখেন, ‘হ্যাঁ, ঘটনাক্রমে আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম, শনিবার আমি যখন বাড়ি ফিরছিলাম তখন। কিন্তু ভাবতে পারিনি যে এই ছোট বিষয়টি নিয়ে বিজেপি অযথা জলঘোলা করবে। এই ঘটনায় কোনও রাজনীতি ছিল না। আমি যেখানে থাকি সেই আবাসনেই অনুষ্ঠান হচ্ছিল। আমাকে দেখে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাবে আমাকে ভিতরে নিয়ে যান।’
দ্বিতীয় টুইটে তিনি লেখেন, ‘ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ধন্যবাদ মিষ্টি ও সুন্দর প্রশংসার জন্য। আমি আমার প্রাক্তন সাংসদের পরিচয় ব্যবহার করিনি। তিনি বিজেপি নেতাদের সংসদে আমার বক্তৃতার কথা বলেছিলেন। এখন আমি বিজেপির নড়বড়ে প্রতিক্রিয়া উপভোগ করছি। যা প্রমাণ করে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। সত্যি এটা দারুণ মজার বিষয়।’